বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিন দিন ক্রমবর্ধমান শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল। একদিকে বঙ্গের দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন, অন্যদিকে তৃণমূলের (Trinamool Congress) অস্বস্তি বাড়াচ্ছে গোষ্ঠী সংঘর্ষ। এবার এই একই ঘটনার সাক্ষী রইল বাঁকুড়া। এদিন তৃণমূল কার্যালয় অফিসের (TMC Party Office) বাইরে চেয়ার ভাঙচুর করলেন দলেরই একাংশ। শুধু তাই নয় দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন দলেরই কর্মীরা। চলে তুমুল বিক্ষোভ।
রবিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) সিমলাপালের মাচাতোড়া এলাকায়। দলীয় ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ করেছেন দলের সভাপতি শিশির সৎপতি, এই অভিযোগেই একেবারে ধুন্ধুমার দশা। প্রতিবাদ জানাতে দলীয়পতাকা, ফেস্টুন হাতে কার্যালয়ের সামনেই বিক্ষোভে নামেন তাঁরা। ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
এদিন বিক্ষোভরত সিমলাপালের ব্লক তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মহম্মদ মনিউদ্দিন খান জানান, ‘টাকা-পয়সার আয়ব্যয় নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। এই বৈঠকে অঞ্চল সভাপতিকে শিশির সৎপতিকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় ফান্ডের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু তিনি বৈঠকে আসেননি। ফলে দলীয় কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এটা কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ব্যাপার নয়।’
তবে ঘটনার কথা অস্বীকার করে সিমলাপালের ব্লক তৃণমূল সভাপতি ফাল্গুনী সিংহের অভিযোগ, ‘এমন কোনও বৈঠকের কথা তাঁরা জানা ছিলনা। তৃণমূলের পতাকা হাতে বিক্ষোভ দেখালেই, যে তাঁরা তৃণমূলকর্মী, এটা আগে থেকে ভাবা ঠিক নয়।’ অন্যদিকে বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ারি, তাঁদের সমস্ত দাবি না মানলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবেন তাঁরা।
এদিনের এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূলকে বিধঁতে দেরী করেনি বিজেপি শিবির। এবিষয়ে সিমলাপালের মণ্ডল আলোক মহান্তীর অভিযোগ,’ তৃণমূলের নেতারা দুর্নীতিগ্রস্ত এটা সকলেই জানে। আবাসযোজনার দুর্নীতি নিয়ে বঞ্চিতরা আগেই সরব হয়েছিল। এখন ওই দলের কর্মীরা একই বিষয় নিয়ে সরব।’