নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে বিরোধিতা করবে মমতার সরকার,সংসদে জোর হট্টগোলের সম্ভাবনা

বাংলা হান্ট ডেস্ক : কয়েক মাস আগে অসমে এনআরসি চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর এন আর সি বিরোধীতা করে পথে নেমেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তবে এ বার লক্ষ্য নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। কয়েক দিন আগেই শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন অর্থাত্ 10 ডিসেম্বর তারিখে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আনার ব্যাপারে ইঙ্গিত করা হয়েছে, আর সেই সম্ভাবনা জারি হতেই লোকসভা বা রাজ্যসভার কক্ষে তৃণমূল সাংসদরা বিরোধিতা করার প্রস্তুতি নিয়েছেন।790792 rajya sabbha 1

আসলে যখনই এনআরসি চালু করা হয় ঠিক তখন বিজেপি নেতৃত্বরা সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল আনার দাবি জানিয়েছিল। সংসদের বাদল অধিবেশনেই এই বিল নিয়ে কম কচকচানি হয়নি। তাই এবার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এর বিরোধিতা করতে তত্পর হয়েছে শাসক শিবিরের নেতৃত্বরা। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল চালু হলে বাংলাদেশ পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সহ বেশ কয়েকটি দেশ থেকে আসা হিন্দু পার্সি জৈন বৌদ্ধ খ্রিস্টান শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে অথচ সেখান থেকে বাদ যাবে মুসলিমরা।

ইতিমধ্যেই লোকসভায় বিলটি পাশ হয়ে গিয়েছে বাকি রয়েছে  রাজ্যসভা তাই বিলের প্রসঙ্গ উঠতেই যে বিরোধীদের ব্যাপক হট্টগোল হবেই তা বোঝাই যাচ্ছে। শুধুমাত্র তৃণমূল নয় কংগ্রেসও কিন্তু জাতীয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করতে পারে বলে সম্ভাবনা প্রকাশ হয়েছে। তবে তৃণমূলের বিরোধের কারণ একটাই যেহেতু জাতীয় নাগরিক পঞ্জি চূড়ান্ত তালিকা থেকে হিন্দুদের নাম বাদ পড়েছে তাই তাঁদের নাকি দেশে টিকিয়ে রাখার জন্য সিএবি আনা হচ্ছে কিন্তু ধর্মের নামে আগে থেকে কোনো তালিকা ঠিক হয়নি।

একই সঙ্গে সংখ্যালঘু সমাজে বড়সড় অসন্তোষ দেখা দেবে বলেই তৃণমূলের যুক্তি। যার জেরে অনেক হিন্দু নাগরিকত্ব খুইয়ে শরণার্থীদের খাতায় নাম লেখাতে বাধ্য হবেন। তাই এই বিল খারিজ নিয়ে দাবি জানাবে তৃণমূল। উল্লেখ্য, ক দিন আগে অসমের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা রাজ্যসভায় 10 ডিসেম্বর তারিখেই চাকরি কত সংশোধনী বিল পাস হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছিলেন

একই সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছিলেন অসমের ছাত্র পরিষদ এবং ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে 3 ডিসেম্বর অর্থাত্ মঙ্গলবার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। আসলে নাগরিকত্ব সংশোধন আইনকে এত লঘু করে দেখতে নারাজ তথ্য জানার অধিকার কর্মী ও কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতির নেতা অখিল গগৈও। কারণ তাঁর মতে নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে উত্তর পূর্ব ভারতের বাসিন্দাদের ওপর ভয়ানক চাপ পড়তে পারে ।


সম্পর্কিত খবর