বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি ত্রিপুরায় ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছে জাতীয় রাজনীতির আবহাওয়া। সেই আবহাওয়া আরও গরম হয় রবিবার। আগামী ২৫ নভেম্বর তআগরতলার পুরভোটের আগে প্রচারের শেষ দিন ছিল রবিবার। আর শেষ বেলাতেই যুব তৃণমূল নেত্রী তথা অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে গ্রেফতার করে আগরতলা পুলিশ।
সায়নীর বিরুদ্ধে জোরে গাড়ি চালিয়ে মানুষ মারার প্রচেষ্টা করার অভিযোগ তুলেছে পুলিশ। এরপরই তাঁকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে গ্রেফতারও করা হয়। সায়নীর গ্রেফতারি নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। রবিবারই আওরতলায় যাওয়ার কথা ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু রাতে বিমান অবতরণের অনুমতি না মেলায় তিনি রবিবার যেতে পারেন নি।
সায়নীকে গ্রেফতার করার প্রতিবাদে দিল্লি কাঁপানোর লক্ষ্য রেখেছে তৃণমূল। দলের সাংসদদের তরফ থেকে সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে এই বিষয়ে নালিশ জানানোর জন্য দেখা করার সময় চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু অমিত শাহ দেখা করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমন সিদ্ধান্তের পর তৃণমূল অমিত শাহের বাড়ির সামনে বসেই ধরনা দেওয়া শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, আজই দিল্লি যাচ্ছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার আগে তৃণমূলের সংসদীয় কমিটি ত্রিপুরা ইস্যু নিয়ে দিল্লিতে তুলকালাম করার লক্ষ্য নিয়েছে। আর সেই কারণেই তাঁরা বিপ্লব দেবের নামে নালিশ জানাতে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল। কিন্তু, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে সময় দিতে পারেন নি। এরপরই তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের মনে আরও ক্ষোভের সঞ্চার হয়।