বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সামনে থেকে স্বাধীন ভারতের সূর্যোদয়ের সাক্ষী না থাকলেও, তাঁর মৃত্যু আজও রহস্য হয়েই থেকে গেছে প্রতিটি ভারতবাসীর হৃদয়ে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর (Subhas Chandra Bose) মৃত্যু যেন আজও একটি রহস্যের মোড়া গল্পের আবরণ। আদৌও সেদিন বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়েছিল কিনা, তা নিয়ে সংশয় আজও কাটেনি।
আজকের দিনেই অর্থাৎ ১৯৪৫ সালের ১৮ ই আগস্ট তাইওয়ানের তাইপেইতে সেই বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল। যার পর থেকে সেই দেশনায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে আর কোনদিন দেখা যায়নি। তাঁর মৃত্যু নিয়ে চলতে থাকা ধন্দের মাঝে, আজকের দিনে নেতাজির ‘মৃত্যুবার্ষিকী’ নিয়ে ট্যুইট করে বিতর্ক তৈরি করলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক।
https://twitter.com/DrRPNishank/status/1427824448942395399
এদিন সকাল সকাল নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে এক ট্যুইট করে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লেখেন, ‘নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যুবার্ষিকীতে, তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। নেতাজির সংগ্রাম, ত্যাগ ও দেশের প্রতি নিষ্ঠা, সমস্ত তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দেয়। জয় হিন্দ!’
We pay tribute to the hero of Indian Independence Movement Shri Subhas Chandra Bose. A valiant freedom fighter, a defiant patriot and a proud son of India. His contribution to the nation will be remembered and honoured till the end of time. pic.twitter.com/Rm4MNLtp2r
— Congress (@INCIndia) August 18, 2021
শুধুমাত্র প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্কই নয়, সেইসঙ্গে এই বিষয়ে একটি ট্যুইট করে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ‘মৃত্যুবার্ষিকী’তে শ্রদ্ধা জানানো হয় নেতাজিকে।
Strongly object to this tweet. This date of death is not proved. Both Congress and BJP govt didn't try to find out the real facts regarding the last moments of Netaji. Don't play with emotions of Bengal and India. First prove the death. Publish the classified files. https://t.co/FmjSoZ3oud
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 18, 2021
এই ঘটনার প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বিজেপি এবং কংগ্রেসকে একসঙ্গে ট্যুইট মাধ্যমে আক্রমণ করে তিনি লেখেন, ‘এই পোস্টের কোঠরভাবে বিরোধিতা করছি। নেতাজির শেষ অবস্থা খোঁজার চেষ্টা করেনি কংগ্রেস এবং বিজেপি কেউই। ওনার মৃত্যুর কোন প্রমাণ নেই। অযথা বাংলা এবং ভারতের আবেগ নিয়ে খেলা করবেন না। আগে মৃত্যু নিশ্চিত করে, তারপর বলুন। প্রকাশ্যে আনুন ক্লাসিফায়েড ফাইল’।