বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোটের মাঝেই বঙ্গ শাসকদল তৃণমূলে (Trinamool Congress) চিড়? এবার দলের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ কুণাল ঘোষকে (Kunal Ghosh) দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দিল তৃণমূল। এই নিয়ে বুধবার একটি বিবৃতি জারি করেছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। উল্লেখ্য, এদিন সকালেই বিজেপির উত্তর কলকাতার প্রার্থী তাপস রায়ের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর প্রশংসা করেছিলেন কুণাল। তারই ‘পুরস্কার’ দিল দল? উঠছে হাজারো প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তীব্র সংঘাতে জড়িয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। ঘটনাচক্রে সেই সময়ই দলের মুখপাত্র পদ থেকেও কুণালকে সরিয়েছিল তৃণমূল। সেই ঘটনা নিয়েও শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্য-রাজনীতিতে। যদিও পরে সেসব মিটমাট হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছিলেন কুণাল। আর এরই মাঝে এবার রাজ্য সম্পাদকের পদ থেকে অপসারিত কুণাল ঘোষ। বর্তমানে তিনি ‘পদহারা’।
কুণালের থেকে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ ‘কেড়ে’ নেওয়ার বিষয়ে এদিন বিবৃতি জারি করে তৃণমূল জানায়, ‘পদে থেকে সম্প্রতি কুণাল ঘোষ এমন কিছু মন্তব্য করেছেন, যা দলের অবস্থানের সঙ্গে একেবারেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। পরিষ্কার করে দেওয়া দরকার যে, কুণাল যাই বলে থাকুক না কেন উনি নিজের ব্যক্তিগত মতামত ব্যক্ত করেছেন, এর সঙ্গে দলের ভাবনার কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের সদর দফতর থেকে যে বিবৃতি দেওয়া হবে, সেটাই দলের আনুষ্ঠানিক অবস্থান’।
ঠিক কী ঘটেছিল এদিন সকালে? বুধবার সকালে উত্তর কলকাতার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে একটি ক্লাবের রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেখানে অথিতি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন তাপস এবং কুণাল দু’জনেই। সেই সূত্রেই এদিন এক মঞ্চ ভাগ করে দেন তৃণমূল-বিজেপির দুই নেতা। মঞ্চেই বসে তাপস রায়ব, তার উপস্থিতিতেই কুণাল সেখানে বক্তৃতা দেন। প্রশংসায় ভরিয়ে দেন বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়কে।
আরও পড়ুন: শাহের পর যোগী! ‘উল্টো ঝুলিয়ে সোজা করে দিতাম’, বাংলায় দাঁড়িয়ে হুঁশিয়ারি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর
কুণাল বলেন, ‘‘তাপস রায় যত দিন জনপ্রতিনিধি ছিলেন, তত দিন মানুষকে পরিষেবা দিয়েছেন। তাপসদা জানেন শেষ চেষ্টা করেছিলাম এক পরিবারের মধ্যে রাখতে। তাপসদা আমাদের প্রিয় পাত্র। দিন-রাত তার দরজা সাধারণ মানুষের জন্য খোলা থাকত।’ কুণাল আরও বলেন, ‘আমাদের প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে প্রার্থী। তবে প্রার্থী হিসেবে তাপসদাকে আমি কোথাও জনপ্রতিনিধি হিসেবে এক ইঞ্চি পিছনে রাখতে পারব না। তাপসদা মন খুলে কাজ করেন। এখানকার এলাকার মানুষকে ঠিক করতে দিন, তারা কাকে প্রার্থী হিসাবে বেছে নেবেন। ছাপ্পা ভোট যেন না হয়।’’ এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা যেতে না যেতেই দলের কোপে কুণাল।