বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল নয়া সংসদ ভবনে পুজোর মাধ্যমে অশোক স্তম্ভের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), যা নিয়ে ইতিমধ্যে গোটা দেশে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে যখন ভারতীয় জনতা পার্টির (Bharatiya Janata Party) পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর এই কর্মকাণ্ডকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে, আবার অপরদিকে সিপিএম (CPIM) সহ অন্যান্য একাধিক বিরোধী দল তাঁর সমালোচনার সরব রয়েছে।
উল্লেখ্য, বিরোধী দলের তরফ থেকে সংবিধানে বিভেদ সৃষ্টির পাশাপাশি সংবিধান লঙ্ঘন করার অভিযোগ তোলা হয় নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে আর এবার অশোক স্তম্ভের সিংহকে বিকৃত করার গুরুতর অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে এদিন টুইট করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে তৃণমূল নেতা জহর সরকার এবং মহুয়া মৈত্র।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার বলেন, “গতকাল নয়া সংসদ ভবনে পূজোর মাধ্যমে অশোক স্তম্ভের উদ্বোধন করেন মোদি। তবে এর মাধ্যমে আমাদের দেশের জাতীয় প্রতীকের অবমাননা করেছেন উনি।” এক্ষেত্রে National Emblem-এর নতুন এবং পুরানো ছবি পোস্ট করে তিনি বলেন, “শ্রেষ্ঠ ভারতীয় সম্রাট অশোকের সিংহ তথা জাতীয় প্রতীকের অবমাননা। মূল সিংহটি আত্মবিশ্বাসী এবং সুন্দর। তবে পাশেরটিতে দেখা যাচ্ছে মোদী ভার্সন-নয়া সংসদ ভবনের। এটি অত্যন্ত লজ্জার বিষয়। তৎক্ষণাৎ এটিকে পরিবর্তন করা উচিত।”
জহর সরকারের ন্যায় একই সুর ধরা পড়ে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের গলায়। তিনিও নতুন এবং পুরনো দুটি ছবি পোস্ট করেন। অপরদিকে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণও কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের নিন্দা করেন।
প্রসঙ্গত গতকাল নরেন্দ্র মোদি দ্বারা অশোক স্তম্ভ উদ্বোধনের ঘটনা নিন্দায় সরব হয় একাধিক বিরোধী দল। সিপিএমের তরফ থেকে সম্পন্ন ঘটনা নিন্দা করে দাবি করা হয়, “আমাদের সংবিধানে প্রশাসন, আইনসভা এবং বিচার বিভাগ এই তিনটি শাখা রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সংবিধানে বিভেদ সৃষ্টি করেছেন মোদি।আমাদের সংবিধানে প্রতিটি মানুষের নিজ ধর্ম পালন করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও গতকাল অশোক স্তম্ভ উদ্বোধন করার জন্য পুজো দিলেন নরেন্দ্র মোদি। এই সকল অনুষ্ঠান থেকে ধর্মের মতো বিষয়কে আলাদা রাখা বলে উচিত।”