বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতবছর গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) সিবিআই (CBI) এর হাতে গ্রেফতার হন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। তারপর থেকে পেরিয়ে গিয়েছে বহুমাস। বাংলার সীমানা পেরিয়ে বর্তমানে তার ঠিকানা দিল্লির তিহাড় (Tihar)। ইডি হেফাজতে রয়েছেন শাসকদলের এই দাপুটে নেতা। তবে রাজ্য ছেড়ে গেলেও দল ছাড়েনি তাকে। এখনও সেই সভাপতির পদ রয়েছে তারই। পাশাপাশি মমতা থেকে শুরু করে অভিষেক, ফিরহাদ সকলের মুখেই এই সময়ে একাধিকবার উঠে এসেছে কেষ্ট প্রসঙ্গ।
আর দলের হাত যে তার মাথায় আছে, তা সরেজমিনে বোঝাতে এবার অসুস্থ কেষ্ট মণ্ডলের শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজ নিতে দিল্লি যাচ্ছেন দলের দুই সাংসদ। দল সূত্রে খবর আগামী শুক্রবার, দলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন এবং বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল তিহাড়ে অনুব্রতের সঙ্গে দেখা করবেন।
ইতিমধ্যেই জেল কর্তৃপক্ষের তরফে প্রয়োজনীয় অনুমতিও মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ তিহাড়ে যাবেন দোলা এবং অসিত। সেখানে ১ ঘন্টা কথা বলার অনুমতি মিলেছে। আবার তিহাড়েই বন্দি রয়েছেন অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। তার সঙ্গেও তৃণমূল সাংসদরা দেখা করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
একদা বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রতর জন্য এই সিদ্ধান্ত নিলেও ওপর দিকে যদি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথা ভাবি তাহলে কিন্তু বিষয়টি একেবারেই বিপরীত। গত বছর জুলাই মাসে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দল সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল। তবে স্পেশাল ট্রিটমেন্ট গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রতের ক্ষেত্রে।
মোটের ওপর সবমিলিয়ে এই এই প্রথম দলের জেলবন্দি কোনও নেতাকে দেখতে যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে মনে করছেন, দলের উচ্চ নেতৃত্বের বার্তা পেয়েই অনুব্রতকে দেখতে যাচ্ছেন দুই সাংসদ। যদিও তৃণমূল তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে অবশ্য এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
কেষ্টর এই দুর্দিনে দল যে তার পাশে আছে, সাথে আছে একথা বোঝাতেই দলীয় প্রতিনিধিদের তিহাড়-সফর বলে মনে করছেন অনেকে। অন্যদিকে রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন। এবার ময়দানে না থাকলেও ভোটের এই কান্ডারিকে একেবারেই ভুলতে চায়না তৃণমূল। তাই হয়তো এই আবহেই নেতার সঙ্গে দেখা করতে উদ্যত দল।