বাংলাহান্ট ডেস্ক: মহাষ্টমীর সন্ধ্যায় কলকাতা শহরের রাস্তায় যখন মানুষের ঢল, তখনই হঠাৎ উত্তাল হয়ে উঠল রাজ্যে রাজনৈতিক মহল। রাসবিহারীতে বামেদের একটি বইয়ের দোকানে ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদে নেমে আটক হন পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় (Kamaleshwar Mukherjee) এবং আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁরা কিছুক্ষণের মধ্যে ছাড়া পেয়ে গেলেও এই ঘটনার জেরে কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক উত্তাপ।
সপ্তমীর রাতে রাসবিহারীর প্রতাপাদিত্য রোডে বামেদের একটু বইয়ের স্টলে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলা চালানোর ঘটনার প্রতিবাদে অষ্টমীর দিন একটি প্রতিবাদ কর্মসূচী আয়োজন করে সিপিএম। কিন্তু কর্মসুচী হওয়ার আগেই বাধা দেয় পুলিশ। এবার এই ঘটনায় বামেদের কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
এ দিন প্রতিবাদ সভায় বাম নেতারা আটক হওয়ার পর পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় ঘটনার নিন্দা করে টুইট করেন, ‘বইকে এত ভয়?’ এর জবাবে কুণাল ঘোষ বলেছেন, “এসব আঁতেলদের মতো কথা বলা ঠিক নয়। বই পড়ি এবং সবাই ভালোবাসি।” তিনি এও দাবি করেছেন, পুজোর সময় আসলে প্ররোচনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বামেরা।
আইনজীবী এবং বাম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, প্রতাপাদিত্য রোডের আক্রান্ত বইয়ের স্টলে লাগানো ছিল ‘চোর ধর, জেল ভরো’ স্লোগান। তাঁর দাবি, সেই ব্যানারই খুলে নিতে বলেছিল পুলিশ। বিকাশবাবুর এই দাবি শুনে কুণাল ঘোষ বলেন, “পুজোর সময় প্ররোচনামূলক ব্যানার কেন লাগানো হবে? আমরা সিপিএম-কে গণহত্যার নায়ক বলি। তাই বলে কি পুজোর সময় সেই সব টাঙিয়ে রাখব?”
বামেদের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে গিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও জ্যোতি বসুর প্রসঙ্গও আনেন কুণাল। তিনি বলেন, “বুদ্ধবাবু বলেছিলেন ‘চোরেদের মন্ত্রিসভা’। সে সব কথা কি আমরা পুজোর সময় টেনে আনছি?” তাঁর আরও দাবি, এক সময় জাগো বাংলার স্টল ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। সেটা ভোলেনি তৃণমূল। তাঁর মতে, বামেরা পুজোয় বিশ্বাস করে না। স্রেফ নিজেদের দলে ভিড় টানতে পুজোর সময় বইয়ের স্টল দেন।
তার বদলে তাদের প্রতি রবিবার স্টল দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কুণাল। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তাঁর বক্তব্য, প্ররোচনামূলক কাজ দেখলে কড়া ব্যবস্থা নিতেই পারে পুলিশ। যদিও পুলিশের এই ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বাম নেতারা।