বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের কাঠগড়ায় শাসকদলের নেতা। এবার ধর্ষণের অভিযোগ জেলার তৃণমূল (Trinamool Congress) ছাত্র পরিষদের এক নেতার বিরুদ্ধে। কাঁথির (Kanthi) এক নাবালিকা কলেজ ছাত্রীকে দামি জিনিসপত্রের লোভ দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে ওই শাসকদলের নেতা ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, পুরো ঘটনার ভিডিও করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করার ব্ল্যাকমেলিংয়ের অভিযোগও উঠেছে ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে ব্ল্যাকমেল করে ওই নাবালিকাকে দিঘায় নিয়ে গিয়ে পুনরায় ধর্ষণ করে অভিযুক্ত যুব নেতা। ইতিমধ্যেই ওই তৃণমূল নেতা সহ তাঁর দুই সঙ্গীর বিরুদ্ধে কাঁথি মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেইমত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলেই খবর।
সূত্রের খবর, নির্যাতিত কলকাতার একটি কলেজে কলা বিভাগের ছাত্রী। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণের পর নাবালিকা যাতে গর্ভবতী না হয়ে পড়ে সেজন্য তাঁকে গর্ভনিরোধক ট্যাবলেটও খাওয়ানো হয়। নির্যাতিতার বাবার বলেন, “আমার নাবালিকা মেয়েকে প্রলোভন দেখিয়ে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ওরা নিয়ে গিয়েছিল। আমরা থানায় অভিযোগ করেছি। তবে তারপর থেকে আমরা খুবই ভয়ে দিন কাটাচ্ছি। ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। লোক মারফত হুমকি আসছে। রাতে বাড়ির বাইরে অপরিচিতদের বাইকের আনাগোনা দেখতে পাচ্ছি। মূল অভিযুক্ত ছাত্র নেতার সঙ্গে দলের অনেক উচ্চতর নেতৃত্বের ছবিও রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে ঘোরাফেরা করতেও দেখেছি। আমি চাই অপরাধীর উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক।”
গোটা এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চরম অস্বস্তিতে শাসকদল। তবে এবিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেন জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি শতদল বেরা। তাঁর কথা, “এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। আমি আপনাদের তরফ থেকে প্রথম শুনলাম। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। যদি অভিযোগ সত্যি হয় তাহলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অন্যদিকে শাসকদলকে একহাত নিয়ে কাঁথি নগর মণ্ডলের সভাপতি সুশীল দাস বলেন, “রাজ্যব্যাপী এটাই চলছে। উত্তর প্রদেশে যেখানে সোজাসুজি ধর্ষকদের এনকাউন্টার করা হচ্ছে সেখানে বাংলায় ধর্ষকরা সাজা পাচ্ছে না।”