বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আগামী ২ মাসের মধ্যে বাংলায় তৈরি হচ্ছে নতুন দল। জল্পনা তৈরি হচ্ছে তৃণমূল (All India Trinamool Congress) একাধিক মন্ত্রীর কথাতে। কারণ মেদিনীপুরের শেষ কথা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) একটি কর্মী সভাতে বলেছিলেন কলকাতায় লোকদের থেকে আমাকে রাজনীতি শিখতে হবে না, এরপরই বাংলার প্রশ্ন উঠতে শুরু করে কার উদ্দেশ্য করে এই কথা বলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী? রাজনৈতিক মহল মনে করছে দক্ষিণ কলকাতার কিছু তৃণমূল নেতা ও মন্ত্রী আছে তাদের উদ্দেশ্য করেই এই কথা বলেছিলেন। পিছুপা হয়নি তার বাবা তথা সাংসদ শিশির অধিকারী তিনি বলেন শুভেন্দু অনেকের থেকে রাজনীতি বেশি বোঝে। এরপর তৈরি হয়েছে আরও বড় জল্পনা।
এরপর তৃণমূলের মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জী ও দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। এছাড়াও তৃণমূল সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী সাধন পান্ডে প্রাক্তন কলকাতার মেয়র মন্ত্রী ববি হাকিমের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে মুখ খুলেছেন। এরপর তৃণমূলের মন্ত্রীসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জী ও বিস্ফোরক মন্তব্য করে বলেন শুধু চুনোপুঁটিদের ধরলেই হবে না রুই কাতলাদের ধরতে হবে। এবং বলেন প্রশান্ত কিশোর ও কিছু করতে পারবে না। সব মিলিয়ে বেশ কিছুটা চাপে তৃণমূল। আগামী বছর বিধানসভা ভোট। ২০১৯শে লোকসভা ভোটে বড় ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূল। এদিকে বিজেপি ২ থেকে ১৮টা সিট দখল করছে। ফলে সব দিক থেকে চাপে তৃণমূল। এদিকে যদি সিপিএম ও কংগ্রেস জোট করে ভোটে লড়াই করে তা হলে বেশ শক্ত হবে লড়াই।
কিন্তু শোনা যাচ্ছে তৃণমূলের কিছু বিক্ষুব্ধ নেতা এবং মন্ত্রী যাদের স্বচ্ছ ইমেজ আছে শুভেন্দুর নেতৃত্বে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে নতুন দল তৈরি হবে। যদি তাই হয় তাহলে সেই দল ১০০ বেশি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এবং বেশিরভাগ আসনে তারা জয়লাভ করবে। তখন তৃণমূল এবং বিজেপি যদি ১৪৮ বেশি সিট না পায় তখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা গ্রহণ করবে নতুন দলটি বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূলের ভোট ভাঙিয়ে এই দল বাংলায় নতুন দিশা দেখাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তাদের মূল লক্ষ্য থাকবে রাজ্যের বৃহত্তর মানুষের বঞ্চনার বিরুদ্ধে যে সরকার চলছে সেই ভোট গুলো তাদের দখলে আনা। সূত্রের গোপন খবর অনুযায়ী, একাধিক নেতার সাথে এই বিষয়ে মিটিং করেছে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নেতারা। ইতিমধ্যে তৃণমূল তৃণমূলের যুব ও তৃণমূল আদিদের একটা সংঘাত চলছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে নতুন দল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শোনা যাচ্ছে তৃণমূলের ১২ জন সাংসদ ও ৭০ জন বিধায়ক নিয়ে এই নতুন দল তৈরি হবে। ২০২১ এর বিধানসভা ভোট এগিয়ে আসবে ততই স্পষ্ট হবে কার দখলে যাবে বাংলা।
এদিকে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধরা ভেতর ভেতর বিজেপির সাথে যোগাযোগ রাখছে বলে আরেকটি সূত্র মারফত খবরটি উঠে এসেছে। এখন দেখার বিষয় তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নেতা মন্ত্রীরা নতুন দল গঠন করে না বিজেপির সাথে হাত মিলিয়ে তারা ক্ষমতার নতুন সরকার নিয়ে আসে, নাকি নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া ঠিক করে তৃণমূলেই থেকে যাবে। সেই দিকে তাকিয়ে গোটা রাজনৈতিক মহল। কিন্তু লড়াই যে শক্ত হবে তা হারে হারে বুঝতে পারছে তৃনমূলও। পাল্টা ক্ষমতায় আসতে চায় বিজেপি। জোট ও তৃনমূলের সরকারের কাজ নিয়ে মুখ খুলছে।