ফের ভাঙন তৃণমূলে, শুভেন্দুর পাশে থাকার বার্তা দিয়ে দল ছাড়লেন সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি কবিরুল

একের পর এক ভাঙন তৃণমূলে (tmc)। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দল ছাড়ার পরপরেই দল ছেড়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি, শীলভদ্র দত্তের মতো নেতারা। এবার সরাসরি শুভেন্দুর পাশে থাকার বার্তা দিয়ে দল ছাড়লেন সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি কবিরুল ইসলাম। ইতিমধ্যেই দলনেত্রীর কাছে তিনি তার ইস্তফা পত্র দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।

IMG 20201218 150420

বরাবরই শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী হিসেবে পরিচিত এই সংখ্যালঘু নেতার স্পষ্ট বক্তব্য, ‘আগামী দিনে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আমি থাকব। ঊনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন, সেই সিদ্ধান্তকে পাথেয় করে চলব। পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র ফেরানোর দায়িত্ব আমাদের মতো যুব সমাজেরই।’। সম্ভবত অমিত শাহের সভাতেই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারী। তিনিও যে তারই অনুগামী হবেন স্পষ্টই সেই বার্তা দিলেন কবিরুল।

নির্বাচনের পূর্বেই কিছুদিন ধরে তৃণমূলের দলীয় নেতা কর্মীদের মধ্যে বেসুরো গান গাইতে শুরু করেছেন অনেকেই। দলের বিরুদ্ধে, দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে, এমনকি তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের নামেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অনেক দলীয় শীর্ষ স্থানীয় নেতারাই। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, দিদির কথা শুনতে রাজী থাকলেও, তারা পিকের কথা শুনবেন না। দলে নতুন ছেলেরা এসে, তাদের গুরুত্ব কমে যাচ্ছে বলেও অনেকে অভিযোগ করেছেন।

ইতিমধ্যেই দল ছেড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারীর পর আসানসোলের বিদায়ী মেয়র এবং পুর প্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি আচমকাই তৃণমূলের সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। দল ছেড়েছেন শীলভদ্র দত্তও। আবার কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল কুমার মণ্ডলও গিয়ে নাম লেখাতে পারেন গেরুয়া শিবিরে। এবার এই ভাঙন ঠেকাতেই আজ তড়িঘড়ি কালীঘাটে বৈঠক ডেকেছে তৃণমূল শিবির। দলের নেতাদের সাথে আলোচনায় বসবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জী। জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন সুব্রত বক্সী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, প্রশান্ত কিশোর প্রমুখরা।

 

 

 

 


সম্পর্কিত খবর