বাংলা হান্ট ডেস্ক : ইতিমধ্যেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে দেশ অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে। যেভাবে একের পর এক সমস্ত রাজ্যে প্রতিবাদ বিক্ষোভে সামিল হচ্ছে তা নিয়ে দেশের চালচিত্র একটু হলেও বদলেছে। প্রথমে অসম, তারপর ত্রিপুরা, মেঘালয়, এরপর পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লী ও উত্তরপ্রদেশ। একেবারেপ্রতিবাদের ঝড় বেড়েই যাচ্ছে। যদিও পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি অনেকটাই অগ্নিগর্ভ হয়েছিল কিন্তু তা সত্ত্বেও রাজ্যে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
কিন্তু এবার যোগী রাজ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদের আঁচ পড়ল ব্যাপক ভাবে। পশ্চিমবঙ্গে বিক্ষোভের আগুন নিভতে না নিভতেই উত্তরপ্রদেশে বিক্ষোভের মাত্রা এতটাই সীমা ছাড়িয়েছে যে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে এখনও অবধি মৃত্যু হয়েছে মোট এগার জনের। আর তাই মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে উত্তরপ্রদেশ রওনা দিচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।
জানা গিয়েছে তৃণমূল নেতা দীনেশ ত্রিবেদীর নেতৃত্বে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল রবিবার উত্তরপ্রদেশে পৌঁছাবে। আর সেই দলে থাকছেন প্রতিমা মণ্ডল, নাদিমুল হক, আবির বিশ্বাস। নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে সেখানে যাবেন তাঁরা। জানা গিয়েছে উত্তরপ্রদেশে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভকারী ফেসটুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে দিনভর স্লোগান তুলে নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।
পরিস্থিতি এতটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় যে পুলিশ জলকামান ছুঁড়তে বাধ্য হয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ অবধি করে।আর পুলিশের সঙ্গে একপ্রকার ধ্বস্তাধ্বস্তিও হয় বিক্ষোভকারীদের। বিক্ষোভের মাঝে মৃত্যু হয় ওই এগার জন বিক্ষোভকারীর।উল্লেখ্য, টানা এক সপ্তাহ ধরে পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বে শহরের বিভিন্ন জায়গায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে চলছে প্রতিবাদ সভা।
চলছে বিক্ষোভ কর্মসূচি। পার্ক সার্কাস থেকে রানী রাসমনি রোডের জনসভা মঞ্চ থেকে সুর চড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।একদিকে মোদী সরকারকে আক্রমন শানিয়েছেন, অন্যদিকে যোগী আদিত্যনাথকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘‘ওকে সিএম বলতে লজ্জা লাগছে’’।