বাংলাহান্ট ডেস্ক : দেশকে ডিজিটাল ইন্ডিয়া করার কথা বহু আগেই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার ডিজিট্যাল কোচবিহার গড়ার ডাক দিলেন কোচবিহারের তৃণমূলের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী তথা প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
রবিবার কোচবিহারের গৌরী মহল এলাকায় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে একটি বৈঠক সারেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। সেখানেই সাংবাদিক সম্মেলনে করে তিনি জানান, তৃণমূল ক্ষমতায় এলে ফ্রি ওয়াইফাই জোন করা হবে কোচবিহার শহরকে। একই সঙ্গে অন্যান্য ডিজিট্যাল পরিষেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যেই কোচবিহারকে হেরিটেজ শহরের স্বীকৃতি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুরু হয়ে গেছে উন্নয়নের কাজও। পানীয় জলের যেটুকু সমস্যা রয়েছে সেটুকুও এবার মিটিয়ে ফেলা হবে। নিকাশিনালা আধুনিকীকরণ করা হবে। মানুষের সমস্ত চাহিদা মেটানোর জন্য কাজ করা হবে। এবার আমরা ক্ষমতায় এলে কোচবিহারকে গ্রিণ সিটি হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ফ্রি ওয়াইফাই জোন এবং অনলাইন পরিষেবা দেবে পুরসভা। ‘
এতদিন অবধি পুরভোটে নিজেদের দলীয় প্রচার সারলেও নির্বাচনী ইস্তেহার নিয়ে মুখ খোলানি তৃণমূল। এবার সেই ব্যাপারেই মুখ খুললেন কোচবিহারের হেভিওয়েট প্রার্থী, পরপর দুবারের বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এদিন শহরকে হেরিটেজ ঘোষণা করার পর সেই সমস্ত উন্নয়নকে তরান্বিত করার কথাও বলতে শোনা যায় তাঁকে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভোটে জেতার আগেই এলাকায় ফ্রি ওয়াইফাই জোন তৈরি করেছেন মধ্যমগ্রাম ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী সুদীপ্ত চন্দ। এ ব্যাপারে তিনি জানান,’শাসকদলকে দেখে নয়, মানুষের ন্যূনতম পরিষেবা দিতেই ওয়াইফাই জোনের পরিকল্পনা। বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহার ছাড়া উপায় নেই। পড়াশোনা থেকে কর্মক্ষেত্র, ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা থেকে দৈনন্দিন সব কাজেই ইন্টারনেট পরিষেবা প্রয়োজন সকলের। নেট রিচার্জের খরচও অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। ফলে অনেকে রিচার্জ করতে না পারলেও এই স্থানে এসে ওয়াইফাই পরিষেবা নিয়ে প্রয়োজনীয় কাজটি করতে পারবে মানুষ’।
আজই পুরভোটের ফলাফল প্রকাশ রাজ্যে। ভাগ্যপরীক্ষা হবে রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের। তাই কে ঠিক কতখানি কথা রাখলেন, নাকি সবই কেবল ‘রূপকথার গপ্প’ হয়েই রয়ে গেল, সেই উত্তর পাওয়া যাবে আজকের পরই।