বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর থেকে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে সরগরম বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। শিক্ষক কেলেঙ্কারি, পুর দুর্নীতি থেকে রেশন স্ক্যাম, একাধিক দুর্নীতির দায়ে গারদবন্দী রাজ্যের একাধিক নেতা-মন্ত্রী, বিধায়ক। একদিকে যখন এই ইস্যুকেই হাতিয়ার করে শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা তেমনি অন্যদিকে পাল্টা অভিযোগ তৃণমূলের (Trinamool Congress) । তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাদের লেলিয়ে দিচ্ছে বিজেপি (BJP)। তবে নিজের দলের নেতাদের সব ছাড়। সোমবার এমনই অভিযোগ তুলে সরব হলেম রাজ্যের দুই মন্ত্রী শশী পাঁজা (Shashi Panja) এবং পার্থ ভৌমিক (Partha Bhowmick)।
ঘাসফুল শিবিরের অভিযোগ ছয় বিজেপি নেতার অস্বাভাবিক ভাবে সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে। তবে বিজেপি নেতাদের বেলায় কোনও পদক্ষেপ করছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই বেলায় মোদী সরকার নীরব। গতকাল সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এমনই অভিযোগ তোলেন শশী পাঁজা এবং পার্থ ভৌমিক। এমনকি বিজেপি ৬ নেতার নামও সামনে আনেন তারা।
কাদের দিকে আঙ্গুল তৃণমূলের? সাংবাদিক বৈঠক থেকে শশী পাঁজা বলেন, ‘ বিজেপি সাংসদ রামেশ্বর তেলি। তার সম্পত্তি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। জ্যোতিরাদিত্য শিন্ডে। বিপুল পরিমাণে তার বিষয়-সম্পত্তি বেড়েছে!’ এরপরই মন্ত্রীর মুখে উঠে আসে বিষ্ণুপুরের গেরুয়া সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের নাম। বিজেপি সাংসদ জগদম্বিবা পাল, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সম্পত্তিও অস্বাভাবিক ভাবে বেড়েছে। প্রকাশ্যে এমনটাই অভিযোগ তোলেন তিনি।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে অতিরিক্ত ৪ দিন ছুটি ঘোষণা! কোন কোন দিন বন্ধ থাকবে অফিস-কাছারি? দেখুন তালিকা
তবে এখানেই শেষ নয়। এরপরই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর নাম তোলেন শশী পাঁজা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়েও সরব হন তিনি। যদিও এই নিয়ে দিন কয়েক আগেই অভিযোগ তুলেছিলেন শাসকদলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
শশী পাঁজা বলেন, ‘বিজেপির এই সব নেতাদের কত অর্থ লাভ হয়েছে, তা দেখা দরকার। কিন্তু সিবিআই, ইডি কেউ পৌঁছোয় না।’ তার কথায়, ‘‘ইডি-সিবিআই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাদের যেমন ব্যবহার করা যায়, তেমনই অপব্যবহারও করা যায়। অপব্যবহার করা হচ্ছে, তৃণমূল নেতাদের হেনস্থা করে। আর ব্যবহারই করা হচ্ছে না যখন, বিজেপির ক্ষেত্রে।’’
ওদিকে পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘‘অজিত পওয়ার থেকে শুরু করে অসমের মুখ্যমন্ত্রী, বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, এরা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই বিজেপির ওয়াশিং মেশিনের দৌলতে তাদের সমস্ত দুর্নীতি ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যায়।’’ তার কথায়, ‘কেউ বিজেপিতে যোগ দিলেই তার সমস্ত দুর্নীতি ধুয়ে যায়।’
ওদিকে এই ইস্যুতে ইতিমধ্যেই শশী পাঁজার অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলেছেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, ‘‘শশী পাঁজা অভিযোগের প্রমাণ দিতে পারলে ওনাকে আমি পুরস্কৃত করব।’’