বাংলাহান্ট ডেস্ক : বছর তিনেক পর তৃণমূলে ঘর ওয়াপসি হয়েছে অর্জুন সিংয়ের। ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ তৃনমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই বিতর্ক এবং রাজনৈতিক শোরগোলের কেন্দ্রবিন্দু ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল এলাকা। অর্জুন সিং তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর তাঁর বেশ কিছু অনুগামী যোগ দেন তৃণমূলে। এরই মধ্যে উলটো সুর দেখা গেল ব্যারাকপুর তৃণমূল কংগ্রেসে। দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন কয়েকশো তৃণমূল কর্মী।
অর্জুন সিং তৃণমূলে যোগদান করার পর বেশ কিছুটা নড়ে গিয়েছিল ব্যারাকপুরে বিজেপির ভীত। বহু জল্পনার পর ব্যারাকপুর বিজেপির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর হাতে। এরপরই উলোট পুরাণ দেখল ব্যারাকপুর। বিজেপি ত্যাগের হিড়িকের মধ্যেই তৃণমূল ছাড়লন কয়েকশো কর্মী। এদিন বিজেপিতে যোগদানের পর দলীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয় তাঁদের হাতে।
অন্যদিকে, বাংলায় বিজেপির তাবড় নেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন অর্জুন সিং। সেই অর্জুন সিংই দল ছাড়ায় বাংলায় দলের সাংগঠনিক স্তরে বড়সড় বদলের পথে হাঁটছে বিজেপি। এতদিন দলের যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি পদে থাকলেও এবার বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সৌমিত্র খাঁকে। শ্রমিকদের হাতিয়ার করেন বিদ্রোহী হয়েছিলেন অর্জুন। বলাই বাহুল্য, সেই জায়গা থেকেই পাট শ্রমিকদের সমর্থন পাচ্ছিলেন অর্জুন সিং। তৈরি হচ্ছিল শ্রমিকদেরও দল বদলের বড়সড় আশঙ্কা। তা রুখতেই সৌমিত্র খাঁকে শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেই মত পর্যবেক্ষক মহলের।
বলাই বাহুল্য, অর্জুন সিং বিজেপি ছাড়ার পর টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয় বঙ্গ বিজেপির অন্দরে। তার পালটা দিতেই এবার কয়েকশো তৃণমূল কর্মীকে দলে যোগদান করালো গেরুয়া শিবির। এই পদক্ষেপ যে তাদের জন্য তুরুপের তাস হতেই পারে তেমনটাই মত পর্যবেক্ষক মহলের একাংশের। উল্লেখ্য, গতকালও ভাঙন দেখা গিয়েছিল তৃণমূলে। জলপাইগুড়ির চা বাগান এলাকায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন ২০০ জন নেতা কর্মী।