বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রেশনের চাল চুরি, ত্রিপল চুরি, কাটমানি নেওয়ার ঘটনার পর এবার প্রকাশ্যে এল আস্ত রাস্তা চুরির অভিযোগ। আর অভিযোগের আঙ্গুল উঠল খোদ তৃণমূল (tmc) পঞ্চায়েত সদস্যদের বিরুদ্ধেই। অর্ধেক রাস্তা তৈরি করেই, লাগানো হল সম্পূর্ণ রাস্তা তৈরির ফলক।
এমন ঘটনা সামনে এসেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া (katoa) থেকে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, অর্ধেক রাস্তা তৈরি করেই সম্পূর্ণ রাস্তা তৈরির ফলক লাগানো হয়েছে। আর এই বাকি রাস্তা তৈরির টাকা আত্মসাৎ করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মীরা। এই ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
বিষয়টা হল, ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে মঙ্গলকোটের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর উন্নয়ন তহবিল থেকে কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের অধীনে মঙ্গলকোট বিধানসভার অন্তর্গত গাফুলিয়া আলমপুর গ্রামের কিছুটা রাস্তা নির্মানের কথা বলা হয়েছিল।
জানা গিয়েছিল, এই উন্নয়ন তহবিল থেকে টাকা দিয়ে গ্রামের বাসস্ট্যান্ড থেকে আলমপুর উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত দীর্ঘ ২ কিলোমিটার পিচ রাস্তা নির্মাণ করা হবে। কিন্তু মাত্র ৯ দিন কাজ করে মাত্র অর্ধেক রাস্তা তৈরি করেই, সেখানে সম্পূর্ণ রাস্তা তৈরির ফলক লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টা গ্রামবাসীদের নজরে আসতেই তাঁরা এই বিষয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করে। তাঁদের দাবি, সম্পূর্ণ রাস্তা তৈরি না করে বাকি অর্থ পঞ্চায়েত সমিতি ও পঞ্চায়েতের মদতে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা নিজেদের পকেটে পুড়েছেন। বাকি রাস্তা তৈরির জন্য বর্তমানে দাবী জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
এই ঘটনায় তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বিজেপির পূর্ব বর্ধমান জেলা সহ-সভাপতি অনিল দত্ত বলেছেন, ‘সম্পূর্ণ রাস্তা তৈরি না করে অর্ধেক রাস্তাতেই ফলক বসিয়ে রাস্তা চুরি করেছে তৃণমূল। শীঘ্রই বাকি রাস্তা তৈরি না হলে, বড় আন্দোলনে নামবে বিজেপি’। এই ঘটনায় রীতিমত শোরগোল পড়ে গেছে রাজনীতির অন্দরে।