বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কোচবিহার (coochbehar) জেলার মোট ১২৮ টি গ্রামপঞ্চায়েতের মধ্যে মেখগিলগঞ্জ (mekhliganj) ব্লকে মোট ৮ টি গ্রামপঞ্চায়েতের মধ্যে একটি মাত্র ছিল বামেদের (cpim) দখলে। একুশের নির্বাচনের পর মেখগিলগঞ্জ ব্লকে মোট ৮ টি গ্রামপঞ্চায়েতের মধ্যে বাকি থাকা ৪ টির মধ্যে ৩ টি গ্রামপঞ্চায়েত চলে যায় তৃণমূলের দখলে। এবার শেষ সম্বল সেখানে বামেদের একটি মাত্র গ্রামপঞ্চায়েত ছিল, এখন সেটিও চলে গেল তৃণমূলের হাতে।
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে সিপিএম ও ফরওয়ার্ড ব্লক ৫ টি আসনে জয়লাভ করেছিল। যার ফলে নিজতরফ গ্রামপঞ্চায়েতে বোর্ড দখল করে বামেরা। এবার মঙ্গলবার সেখান থেকেই ফরওয়ার্ড ব্লকের একজন, সিপিএমের একজন এবং বিজেপির ৩ সদস্য তৃণমূলে যোগ দিতেই, বদলে যায় সমস্ত কিছু। ওই এলাকায় থেকে বামেদের হাত থেকে শেষ হাতিয়ারও চলে যায় তৃণমূলের কাছে।
এদিন যারাই দলত্যাগ করে তৃণমূলে যোগদান করলেন, তাঁরা জানিয়েছেন, ‘কোনরকম চাপে নয়, আমরা উন্নয়নের স্বার্থেই তৃণমূলে যোগদান করেছি’। তবে অন্যদিকে বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছে, শাসকদলের ভয় আর প্রলোভনের রাজনীতির কারণেই এমনটা হয়েছে। জোর করে ভয় দেখিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস করতে চাইছে তৃণমূল।
মেখগিলগঞ্জ ব্লকে বাকি থাকা নিজতরফ গ্রামপঞ্চায়েতও বর্তমান তৃণমূলের দখলে চলে এসেছে। এখন শুধুমাত্র সেটার হাতবদলের অপেক্ষা। মেখলিগঞ্জ ব্লকের নিজতরফ গ্রামপঞ্চায়েতে এখন সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের পর মেখলিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক তথা শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারী জানিয়েছেন, ‘আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হলাম ওই পঞ্চায়েতে। আসন্ন কিছুদিনের মধ্যেই এখানে বোর্ড গঠন করব আমরা’।