বাংলাহান্ট ডেস্ক : সিবিআই (CBI) হেফাজতে অনুব্রত! এই খবরটাই দলের নিচুতলার কর্মী সমর্থকদের মন ভেঙে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠে আসতেই পারে। কিন্তু তৃণমূলের (TMC) একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) যে এক বিরাট ভুমিকা রয়েছে তা এক কথায় স্বীকার করে নিচ্ছেন দলের প্রত্যেকে।
এবার অনুব্রতকে সিবিআই হেফাজতে নেওয়ার পর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে, তৃণমূল কি বীরভূমের জেলা সভাপতির পাশে থাকবে? নাকি সেই পার্থর মতই ছুঁড়ে ফেলে দেবে? এই প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। শনিবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে তিনি বলেন পাপের ভাগীদার কেউ হয় না। দস্যু রত্নাকরের পরিবারও তাঁর পাপের ভাগ নেয়নি বলেই মনে করিয়ে দেন তিনি।
এ দিন ইকোপার্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘দেখুন রামায়ণে আছে, রত্নাকর যখন দস্যু ছিলেন, তখন মানুষ হত্যা করে পরিবার চালাতেন। ব্রহ্মা, বিষ্ণু তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, তোমার এই বিরাট পাপের ভাগিদার কে হবে? তোমার পরিবার কি সেই পাপের ভাগ নেবে? পরিবার বলেছিল, আমাদের খাওয়ানোর দায়িত্ব তোমার। তোমার পাপের ভাগীদার তুমিই। তাঁর পরিবারই পাপের ভাগ নেয়নি। আর এ তো কোথাকার এক অনুব্রত মণ্ডল।’
দিলীপ ঘোষের দাবি, অনুব্রত মণ্ডল দুর্নীতি করে। বাড়ি ঘর বানিয়েছেন, সম্পত্তি বাড়িয়েছেন। তাঁর পাপের ভাগ পরিবারই নেবে না আর দলের কথা তো ছেড়েই দেওয়া যায়।তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য এখনও পর্যন্ত অনুব্রতর ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নি বলেই দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে। দলের পক্ষ থেকে শুধুমাত্র বলা হয়েছে, তৃণমূল কোনও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেবে না। কেউ মানুষ ঠকালে, দল তাঁকে কোনওদিনই সমর্থন করবে না।
দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ‘অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীরব হয়ে আছেন। ২১ জুলাই শহিদ সভার মঞ্চ থেকে তিনি যে সব কথা বলেছিলেন, সে গুলো মানুষই ফিরিয়ে দিচ্ছেন।’ মুখ্যমন্ত্রী যাঁদের ওপর ভরসা করে ওই সব কথা বলেন তাঁরাই আজ মমতাকে ডুবিয়ে দিয়েছে।বলেও দাবি করলেন দিলীপ ঘোষ। অনুব্রত মণ্ডলের দশা যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতোই হবে তা জোর গলায় বললেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি।