বাংলাহান্ট ডেস্ক : বজবজ, সাঁইথিয়ার পর এবার বিনা যুদ্ধেই দিনহাটা পুরসভাও হাতে এল তৃণমূলের। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে বজবজ এবং সাঁইথিয়ায় বিরোধীরা প্রার্থী দিতে না পারায় কার্যতই এমনিই এই দুই পুরসভা দখল করে তৃনমুল। কিন্তু এবার স্ক্রুটিনির দিনও অঘটন ঘটলো বিরোধী শিবিরে। ফলে দিনহাটা পুরসভাতেও জয়ী হল শাসক দলই।
দিনহাটার মনোনয়ন জমা শেষ হলে দেখা ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭টিতে প্রার্থীই দেয়নি বিরোধী কোনো দল। ফলে সেখানে ১,৩,৭,৯,১২,১৫,১৬ ওয়ার্ড আগেই দখল করে তৃণমূল। এই পর্যায়েও ভোট হবে এরকম সম্ভাবনাই ছিল প্রবল। কিন্তু বৃহস্পতিবার স্ক্রুটিনির সময় দেখা গেল ২,৪,৫,৭,১১,১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীদের প্রস্তাবকরা সরে গিয়েছেন।
নিয়ম অনুসারে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর স্ক্রুটিনির সময় সশরীরে উপস্থিত হতে হয় প্রার্থী এবং প্রস্তাবককে। কিন্তু এদিন দেখা গেল ওই ৬টি ওয়ার্ডের একজন বিজেপি প্রার্থীর প্রস্তাবকও হাজির হননি। এরপরই বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল করে দেন সরকারি আধিকারিকরা। এর ফলে সামান্যতম প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই ১৬টির মধ্যে ১৩টি ওয়ার্ড হাতে চলে এল তৃণমূলের।
এই অভূতপূর্ব জয় প্রসঙ্গে দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, ‘এই জয় মানুষের জয়। কিছু জয় ভোটের আগে আসে, কিছু আবার ভোটের পরে আসে। এটা ভোটের আগেই এল। এখন আমাদের লক্ষ্য ১৬-০ করা।’
যদিও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলের এই জয়কে শুরু থেকেই বিঁধে আসছে বিরোধীরা। বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএম একত্রে অভিযোগ করেছিল যে পুলিশ নিয়ে প্রার্থীদের বাড়িতে গিয়ে ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূল। এমনকি মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন প্রার্থীদের বাড়ি থেকে বেরোতেই দেওয়া হয়নি বলেই দাবি তাদের। যদিও তৃণমূলের জয়োচ্ছ্বাসের কাছে ধোপে টেকেটি এই অভিযোগ। দিনহাটায় এই জয়ের পর ইতিমধ্যেই খুশির হাওয়া তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। চলে সবুজ আবির খেলাও।