বাংলাহান্ট ডেস্ক : ইতিহাসের অবসান! অধিকারী গড়ে অধিকার হারালো অধিকারীরাই। সবুজ ঝড়ে ভেসে গেল পদ্ম। তৃণমূলের হাতেই কাঁথি। কার্যতই ৩ দশক পর কাঁথি পুরসভার চেয়ারে বসবেন অধিকারী পরিবারের বাইরের কেউ।
কাঁথি পুরসভায় মোট ২১ টি ওয়ার্ড রয়েছে। এই ২১ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮ টিতে এগিয়ে তৃণমূল, দুটিতে বিজেপি এবং একটিতে নির্দল। শুধু তাইই নয়, খোদ শুভেন্দু অধিকারীর নিজের ওয়ার্ডেও বিজেপিকে উড়িয়ে উড়ছে সবুজ ধ্বজাই। এমনকি একটি ওয়ার্ডে পরাজিত হয়েছেন বিজেপির বিধায়ক সুস্মিতা সিংহও।
শুরু থেকেই কাঁথিকে বিজেপির দখলে রাখতে উঠে পড়ে লেগেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। দিন রাত এক করেই বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে প্রচার সারেন তিনি। বিজেপির ভোট চাইতে যান মানুষের দুয়ারে দুয়ারেও। দীর্ঘ দিন ধরে কাঁথি অধিকারী পরিবারের যেন অধিকারে পরিণত হয়েছিল। কাঁথিতে অধিকারীদের বাইরে যে কেউ জিততে পারে একথা ভাবাও একপ্রকার অসম্ভব ছিল কিছুদিন আগেও। এবার দীর্ঘ ৩৫ বছর পর সেই গদি হাতছাড়া হল অধিকারী পরিবারের।
যদিও তৃণমূলের এই জয়কে সন্ত্রাসের জয় বলেও দাবি করছে বিজেপি। তাদের দাবি, ছাপ্পা ভোট এবং সন্ত্রাস করেই কাঁথি পুরসভা দখল করেছে তৃণমূল। অন্যদিকে শুভেন্দুকেও পালটা দিতে ছাড়ছেন না ঘাসফুল শিবিরের একাংশ। কাঁথিতে বিজেপির এই হারকে শুভেন্দুর নৈতিক হার হিসেবেই দেখাতে তৎপর তৃণমূল।
জয় হলেও কে হবেন কাঁথির চেয়ারম্যান তা নিয়েও বেশ কিছুটা ধন্দ রয়েছে এখনও। তবে পর্যবেক্ষকদের দাবি শুভেন্দুর সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিরুদ্ধতার কারণেই অখিল পুত্র সুপ্রকাশ গিরিকেই অধিকারী গড়ের গদিতে বসাবে শাসকদল।