বাংলাহান্ট ডেস্ক : এ যেন একেবারে বিনা যুদ্ধেই যুদ্ধজয়। ভোটের আগেই বজবজ এবং সাঁইথিয়া পুরসভা দখল করে ফেলল তৃণমূল। এই দুই পুরসভার অধিকাংশ ওয়ার্ডেই প্রার্থী দিতে পারেনি বিরোধীরা। তাই লড়তে নামার আগেই বিজয়ী হল রাজ্যের শাসকদল।
জানা যাচ্ছে, বজবজ পুরসভার ২০টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র ৮টি তে প্রার্থী দিয়েছে বিরোধীরা। ১২টি ওয়ার্ডে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য কেউই নেই। একই অবস্থা প্রায় সাঁইথিয়ায়। সেখানের ১৬ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩টি ওয়ার্ডেই একজনও বিরোধী প্রার্থী দাঁড়াননি তৃণমূল বিপরীতে।
পুরো ঘটনার জন্য অবশ্য তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা। বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএম একসঙ্গেই অভিযোগ আনে যে প্রতিটি ওয়ার্ডে পুলিশ নিয়ে প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়ে এসেছে তৃণমূল। শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস সৃষ্টি করার অভিযোগও এনেছে তারা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সিপিএম এর জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য প্রভাত চৌধুরীর অভিযোগ, ‘মঙ্গলবার রাত অবধিও একাধিক প্রার্থীর বাড়ি ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল। আজ সকালেও অনেক প্রার্থীর বাড়িতে হুজ্জুতি চালায় তৃণমূল। যে সাতজন সিপিএমের হয়ে মনোনয়ন জমা দিতে পেরেছেন গত ৪৮ ঘন্টা ধরে এলাকার বাইরে রাখা হয়েছিল তাঁদের।’
যদিও এই অভিযোগে কান দিতে রাজি নয় তৃণমূল। এই অভিযোগকে নস্যাৎ করে তৃণমূল নেতা গৌতম দাশগুপ্ত পালটা দাবি করেন,’ প্রার্থী হওয়ার লোক না পেয়ে এইসব দাবি করছে বিরোধীরা। সন্ত্রাস ছড়ানো হলে ওরা তো কোনো ওয়ার্ডেই প্রার্থী দিতে পারর না। কিন্তু বজবজে ৮টি কেন্দ্রে তো প্রার্থী রয়েছে বিরোধীদের।’
যদিও এর মধ্যেই প্রার্থী তালিকাকে ঘিরে বিতর্কে জড়িয়েছে বজবজ পুরসভা। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিয়েছিলেন যে পার্থ-বক্সীর সই করা তালিকাই সর্বোচ্চ। কিন্তু বজবজে মনোনয়ন জমা দেওয়া হয় প্রথম প্রার্থী তালিকা অনুসরণ করেই। এই ব্যাপারে সাফাই দিতে গিয়ে গৌতমবাবু সাফ জানিয়েছেন, ‘ওই তালিকা সারা বাংলার জন্য কার্যকর হলেও বজবজের জন্য নয়।’ একই সঙ্গে দ্বিতীয় তালিকাতেও অনেক ভুল ক্রুটি আছে বলেই দাবি করেন তিনি।
বিনা যুদ্ধে গদি জয়ে ঘাসফুল শিবিরে খুশির হাওয়া থাকলেও প্রার্থী তালিকা বিতর্ক নিয়ে মৃদু অস্বস্তি থেকেই যাচ্ছে।