বাংলা হান্ট ডেস্ক :পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির লোকসভা ভোটে সাফল্যকে ধরে রেখে বিধানসভাতেও প্রভাব পড়ার আশা রেখেছ বিজেপি। যদিও তা কতটা সাফল্য মন্ডিত হবে তা দেখা কার্যত সময়ের অপেক্ষা। তবে বিধানসভা উপনির্বাচনে যেভাবে বিজেপির তিন কেন্দ্রে পরাজয় হয়েছে তাতে তো কোনো কথাই বলা যাবে না। তবুও হাল ছাড়তে নারাজ গেরুয়া বাহিনী। আর তাই এবার প্রকাশ্য জনসভায় তৃণমূলকে দুভাগে ভাগ হয়ে যাওয়া নিয়ে ভবিষ্যদ্বানী করলেন।
একদল নাকি মিমের সঙ্গে অন্যদিল যাবে বিজেপির সঙ্গে। হুগলির জঙ্গলপা়ড়ার একটি প্রকাশ্য জনসভা মঞ্চ থেকে এমনই মন্ত্যব্য করে কার্য়ত সমালচনার মুখেও পড়তে হল তাঁকে। একইসঙ্গে বামেদের সঙ্গে তৃণমূলের ও তৃণমূলের সঙ্গে বামাদের হাত মেলানো নিয়েও তাঁর অবাক হবেনা বলেও জানান। পাশাপাশি ২১ এর বিধানসভা নির্বাচনকে টার্গেট করে বাম কংগ্রেস ও তৃণমূল ছাড়াও তিনশোটি দল এসে বিজেপিকে পরাস্ত করতে পারবেনা বলেও জানান।
পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে এদিন জয় বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তো এখন গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। একদিকে বিজেপি আর একদিকে আবার মিম। তৃণমূলের অর্ধেক লোক বলবে ‘আমি মিমে চললাম’ আর বাকি অর্ধেক লোক বলবে ‘আমি বিজেপিতে চললাম।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন ভাইপোকে নিয়ে বসে হাওয়া খাবে।”
আসলে রাজ্যে মিম অর্থাত্ অল ইন্ডিয়া ইত্তেহাদুল ই মুসলিমিন বা মিম-এর প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এমনকি বিধানসভা নির্বাচনে তাঁরা প্রার্থী দেবে বলেও জানিয়েছে, তাই তো সরাসরি মিম ও বিজেপিকর সঙ্গে শাসক বাহিনীর মিশে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন জয়।