বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্বে ফের একবার অশান্তি ছড়িয়ে পড়লো বাংলায়। সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্যে একের পর এক হিংসার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। সেই ধারা বজায় রেখে এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Pargana) জেলার গোসাবায় (Gosaba) এক তৃণমূল (Trinamool Congress) কর্মীর ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। অভিযোগ দলেরই এক নেতার বিরুদ্ধে। আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একইসঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচন যতই অগ্রসর হয়ে আসছে, ততই যেন গোটা বাংলা জুড়ে হিংসার ঘটনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। বিশেষত, শাসকদলের গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের কারণে ইতিমধ্যে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। কখনো গুলি চালানো, আবার কখনো বোমাবাজির ঘটনায় ভীতসন্ত্রস্ত বঙ্গবাসী আর এবার এ ধরনের ঘটনার সাক্ষী থাকলো গোসাবা এলাকা।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, গতকাল রাতের দিকে মনোরঞ্জন মণ্ডল নামে এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী বাড়ি ফিরছিলেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার গোসাবার বাসিন্দা মনোরঞ্জন। অভিযোগ, রাতে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে তৃণমূল কর্মীর ওপর গুলি চালিয়ে বসে অসিত মণ্ডল এবং দেবু হালদার নামে দুই দুষ্কৃতী। পরবর্তীতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মনোরঞ্জন এবং এক্ষেত্রে তড়িঘড়ি সেখানে দৌড়ে আসে স্থানীয়রা। পরবর্তীতে তাঁকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে খবর।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযোগের আঙ্গুল উঠেছে তৃণমূল নেতা বরুণ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে। এক্ষেত্রে ওই তৃণমূল নেতাই দুই দুষ্কৃতীকে পাঠিয়েছিলেন বলে অভিযোগ সামনে আসছে। বলে রাখা ভালো, গত বছর বিধানসভা ভোটের পর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন বরুণ প্রামানিক। এক্ষেত্রে তৃণমূলে যোগদান করলেও বর্তমান সময় দাঁড়িয়ে বিজেপির আশ্রয়ে একের পর এক দুষ্কৃতীমূলক ঘটনা ঘটিয়ে চলেছেন বরুণ, এহেন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
যদিও এক্ষেত্রে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতা বলেন, “চার দিন ধরে আমি শ্বাসকষ্টে নাজেহাল। অ্যাপেলো হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। দুদিন হল বাড়িতে ফিরেছি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়ে চলেছে। আমার নামকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা। পুলিশকে বলেছি, যারা এই ঘটনায় অভিযুক্ত, তাদেরকে গ্রেফতার করা হোক এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
আহত তৃণমূল কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করার পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় থানার পুলিশ। এক্ষেত্রে গুলি চালানোর ঘটনায় কার হাত রয়েছে কিংবা কি কারণে এই ঘটনা, সেই বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে বলে আশ্বাস প্রশাসনের।
আরজিকর কান্ডে বিতর্কিত মন্তব্যের পর, পুজো উদ্বোধনে সৌরভ বললেন, ‘এই শেষ…’