বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোট পূর্বে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠে আসছে বোমাবাজি, বিস্ফোরণের ঘটনা। রবিবার মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) ফের বোমাবাজিতে প্রাণ গেল শাসকদলের এক কর্মীর (TMC Worker)। বড়ঞার বিপ্রশেখর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাপড়দা গ্রামে আমির সেখকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ওই তৃণমূল কর্মী।
কি ঘটেছিল? স্থানীয় সূত্রে খবর , গতকাল মসজিদে নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন আমির নামের ওই তৃণমূল কর্মী। সেই সময়ই তাঁকে লক্ষ্য করে ৪টি বোমা ছোড়া হয়। বোমার আঘাতে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যায় আমিরের দেহ। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় তাঁর।
দুষ্কৃতীদের হাতে মৃত্যুর ঘটনায় মৃত যুবকের দেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখায় উত্তজিত জনতা। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করতে গেলে তাদের সঙ্গেও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পরে উত্তপ্ত মানুষজন।
তবে হামলার ঘটনার পেছনে ঠিক কাদের হাত আছে তা এখনও সামনে আসেনি। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই এই হামলা। যারা হামলা চালিয়েছে তারাও তৃণমূল কর্মী বলেই মত তাদের। প্রসঙ্গত, এই অঞ্চলে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ নতুন কিছু নয়। এর আগেও বহুবার দলের কর্মীদের মধ্যে কোন্দলের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।
রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে একের পর এক লাগাতার এই ধরনের ঘটনা সামনে আসায় যথেষ্টই অস্বস্তিতে তৃণমূল শিবির। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, বিষয়টি দল ও প্রশাসনের নজরে এসেছে। দল শীঘ্রই পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু আসল কথা হল তৃণমূলে কোনও গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব নেই। কিছু মান অভিমান থাকতে পারে। তৃণমূল বোমা গুলির রাজনীতিতেও বিশ্বাস করে না। বিরোধীরা জনবি্ছিন্ন হয়ে এখন এসব ঘটাচ্ছে।