বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাতের সময় বন্ধুদের সাথে বসে গল্প করছিলেন। তবে বাড়ির বাইরে আড্ডা দেওয়ার পরবর্তী মুহূর্তে যে ভয়ংকর ঘটনা ঘটে যাবে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি কুলতলি (Kultali) থানা সংলগ্ন জালাবেড়িয়া চাঁদপুরের তৃণমূল কর্মী সহদেব হালদার (Sahadeb Haldar)। মুহূর্তের মধ্যে তাকে ঘিরে ধরে কয়েকজন দুষ্কৃতী এবং পরবর্তীতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু হয় সহদেবের।
কুলতলির এই ঘটনায় ইতিমধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। সূত্রের খবর, গতকাল রাতের দিকে চাঁদপুর এলাকায় সহদেব হালদার নামে এক তৃণমূল কর্মীকে খুন করে পালায় কিছু দুষ্কৃতী। এক্ষেত্রে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার সময় চার দিক থেকে তাকে ঘিরে ফেলে কয়েকজন দুষ্কৃতী। ধারালো অস্ত্রধারী লোকেদের দেখে পালানোর চেষ্টা করে সহদেব। তবে হয়নি শেষ রক্ষা!
স্থানীয় সূত্রে খবর, সহদেব-সহ তাঁর গোটা পরিবার তৃণমূল কংগ্রেস করত। এক্ষেত্রে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব নাকি অন্য কোন কারণে এই খুন, সে প্রসঙ্গে এখনো পর্যন্ত সুস্পষ্ট কোন ধারণা মেলেনি। বর্তমানে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছে কুলতলি থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করে দিয়েছে তারা।
কিভাবে ঘটলো সহদেব খুনের ঘটনা? গতকাল বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার সময় চারদিক থেকে সহদেবকে ঘিরে ধরে দুষ্কৃতীরা। পরবর্তীতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করা হয় ঐ তৃণমূল কর্মীকে। এই পরিস্থিতিতে বাঁশের জঙ্গল হয় পুকুরপাড়ের দিকে ছুটতে থাকে সে, তবে পাশাপাশি তার পিছনে ধাওয়া করে অভিযুক্তদের দল এবং পরবর্তীতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিকবার কোপ মারার কারণে সেখানেই মৃত্যু হয় তার। পরবর্তীতে স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে গেলে সেই মুহূর্তে সেখান থেকে পালিয়ে যায় তারা।
এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে সর্বত্র। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এক্ষেত্রে পুরানো শত্রুতা জেরে সহদেবকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। এখনো পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে তদন্ত চালিয়ে দ্রুত সকলকে গ্রেফতার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।