বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর বিপুল জনসমর্থন নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয় বার বাংলার মনসদে বসেছেন। তৃণমূলের এই ঐতিহাসিক জয় ইতিমধ্যেই চার মাস অতিক্রম করেছে। কিন্তু ভোট মিটলেও রাজ্যের শাসক দলের অন্দরের অশান্তি এখনও মেটেনি। আজ অর্থাৎ রবিবার বর্ধমানের গোষ্ঠী কোন্দলের ঘটনা একথাই ফের একবার প্রমাণ করে দিল।
বর্ধমানের খাগড়াগড়ে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে খোদ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে শেখ ফিরোজ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। জানা গেছে তিনি সরাইটিকর পঞ্চায়েতের সদস্য। বেশ কিছুদিন ধরেই স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের সাথে তার বিবাদ রয়েছে।
তার বিরুদ্ধে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী ইব্রাহিম কুয়েশি অভিযোগ করে বলেছেন এদিন তারা শান্তিপূর্ণভাবে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের ক্যাম্প করে উপভোগক্তাদের সাহায্য করেছিলেন। কিন্তু সেখানে আচমকাই এসে হামলা চালাতে শুরু করে ওই অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর দলবল। তাদের অভিযোগ তারা তৃণমূলের পার্টি অফিসের চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করার পাশাপাশি দুয়ারে সরকার প্রকল্পের ব্যানার টেনে ছিড়ে ফেলে দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত ফিরোজ এর অনুগামীরা পাল্টা অভিযোগ এনেছেন ইব্রাহিম কুয়েশি বিরুদ্ধে। তাদের দাবি ভোটের আগে ইব্রাহিম বিজেপি করছিল আর এখন ভোট মিটতে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূলের নাম করে বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি লাগিয়ে দিচ্ছে। তারা ইতিমধ্যে এ বিষয়ে তারা থানায় অভিযোগ করেছেন বলেও জানা গেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বর্ধমানের এই গোষ্ঠী কোন্দল এর ঘটনা নতুন নয়। জানা গেছে পুরসভার সহ প্রশাসক হিসাবে আইনুল হককে নিয়োগ করার পর থেকেই এলাকায় শাসকদলের মধ্যে দুটো দুই গোষ্ঠীর সৃষ্টি হয়েছে। আর এই দুই গোষ্ঠীর প্রায়ই প্রকাশ্যে পক্ষে-বিপক্ষে মিটিং- মিছিল করে থাকে। আর এসবের মধ্যেই খাগড়াগড়ের পার্টি অফিস ভাঙচুরের ঘটনা নতুন করে চিন্তা বাড়াচ্ছে তৃণমূলের।