মমতা ব্যানার্জীর সভা শেষ হতেই তৃণমূলের বিধায়ককে ঘিরে ক্ষোভ কর্মীদের! কেঁদে ফেললেন বিধায়ক

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ মমতা ব্যানার্জির (Mamata Banerjee) সভা শেষ হতেই তৃণমূলের (All India Trinamool Congress) বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন দলীয় কর্মীরা। দলীয় পতাকা তোলাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চণ্ডীতলা। আজ দুপুরে গরলগাছায় তৃণমূল বিধায়ক স্বাতী খন্দকার নিজের অনুগামীদের নিয়ে দলীয় পতাকা তুলতে গেলে ওনাকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিধায়কের অনুগামী আর বিরোধী গোষ্ঠীর সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। মমতা ব্যানার্জীর সভা শেষ হতেই বহিরাগত স্বাতী খন্দকার দূর হটো বলে স্লোগান ওঠে।

clash1

এই ঘটনায় অপমানিত বোধ করে বিধায়কের ছেলে কান্না শুরু করে দেয়। বিধায়ক স্বাতী খন্দকার বলেন, আমার বাবা আলী আকবর তৃণমূল করতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন, আর এখন আমাকেই বহিরাগত শুনতে হচ্ছে। স্বাতী অভিমানে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, মমতা ব্যানার্জী টিকিট দিয়েছিলেন বলেই আমি বিধায়ক হয়েছি, উনি টিকিট না দিলে আর বিধায়ক হয়ে আসব না। ঘটনাস্থলে সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জী পৌঁছালে ওনার কাছেও স্বাতী খন্দকার দলীয় কর্মীদের দুর্ব্যবহার নিয়ে অভিযোগ করেন।

জানিয়ে দিই, সম্প্রতি গড়লগাছা গ্রামে আমফানের টাকা বণ্টন নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এরপরই তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান মনোজ সিংকে বহিষ্কার করে শাসক দল। আর আজ সেই দুর্নীতিগ্রস্ত মনোজ সিংকে বিধায়ক স্বাতী খন্দকারের পাশে দেখা যায়। এরপরই দলীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে কর্মীরা। হগলির বৈদ্যবাটির বাসিন্দা স্বাতী খন্দকার চণ্ডীতলায় বিধানসভার টিকিট পাওয়ার পর থেকেই দলের মধ্যেই ক্ষোভের সঞ্চার হয়। দলীয় কর্মীরাই জানায় যে, বিধায়ককে তো দেখাই যায়না। আর সেই ক্ষোভই আজ প্রকাশ করলেন তাঁরা।

clash 1 750x430 1

আকেদিকে মমতা ব্যানার্জী দলীয় কর্মীদের এক হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার আহ্বান জানাচ্ছেন, আরেকদিকে দলীয় কর্মীরা সবাই নিজের নিজের গোষ্ঠী বানিয়ে একের পর এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন। এটাই প্রথম না যে কোন তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে এরকম ক্ষোভ প্রকাশ করল দলীয় কর্মীরা। এর আগে তৃণমূলের দুই মন্ত্রীকে ঘরে আটকে রেখে জলপাইগুড়িতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল দলীয় কর্মীরা।

Avatar
Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর