বাংলাহান্ট ডেস্ক : ‘যুবরাজ’ পদে আবারও অভিষেক হল তাঁর। আবারও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দখলেই থাকল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ।এদিন জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক শেষ এমনটাই ঘোষণা করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
সপ্তাহ খানেক আগে দলে অন্তঃকলহের জেরে জাতীয় স্তরের সমস্ত পদ অবলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একমাত্র বহাল ছিল সভাপতি অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদ। দলের কাজ পরিচালনা করার জন্য ২০ জন সদস্য নিয়ে একটি কর্মসমিতি গঠন করা হয় গত শনিবার। বলা হয়েছিল কর্মসমিতিতে কে কোন পদে থাকবেন একসপ্তাহ পরে নির্ধারিত হবে তা। সেই মতই এদিন তৃণমূলের কর্মসমিতির প্রথম বৈঠক বসল কালিঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে। এই বৈঠকে কর্মসমিতির সদস্যরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের জাতীয় স্তরের নেতারাও।
জানা যাচ্ছে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দল অনেক বড় হয়েছে। তাই সবাইকে নিয়ে একসঙ্গেই কাজ করতে হবে।’ এরপরই কর্মসমিতির পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই ঘোষণা অনুয়ায়ী দেখা যায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক থাকছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই। দলের সহ সভাপতি হন যশোবন্ত সিনহা, সুব্রত বক্সি এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কোষাধ্যক্ষ অমিত মিত্র। এদিন মুখ্যমন্ত্রী আলাদা ভাবে বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম এবং মলয় ঘটকের সঙ্গেও।
একনজরে দেখে নিন তৃণমূলের নব নির্বাচিত পদাধিকারীদের নাম
সমন্বয়কারী- ফিরহাদ হাকিম
আর্থিক ও বিদেশ নীতির খসড়া তৈরি- যশোবন্ত সিনহা, অমিত মিত্র-সহ বেশ কয়েকজন
জাতীয় মুখপাত্র-সুখেন্দুশেখর রায়
রাজ্যসভার মুখপাত্র-সুখেন্দুশেখর রায়
লোকসভা মুখপাত্র-কাকলি ঘোষদস্তিদার
উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির দায়িত্বে- সুম্মিতা দেব, মুকুল সাংমা ও সুবল বণিক
প্রসঙ্গত দলের পদ অবলুপ্তির পর বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তৃণমূলকে। বিজেপি দাবী করে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আর কোনো পদেরই দাম নেই তৃণমূলে। একনায়ক তন্ত্র চালাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। অভিযোগ ওঠে দলের অন্দরেও। তবে সেসমস্ত বিষয়ে কান দিতে নারাজ ছিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, ২০ জনের কর্মসমিতিতে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অমিত মিত্র, সুব্রত বক্সী, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুখেন্দু শেখর রায়। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অসীমা পাত্র, মলয় ঘটক, রাজীব ত্রিপাঠি, অনুব্রত মন্ডল, গৌতম দেব এবং বুলুচিক বারিক এবং আরও ৪ নেতা।