লোকসভায় বাংলায় মাত্র ২৩ আসন পেতে পারে তৃণমূল, খোদ অভিষেকের ভবিষ্যদ্বাণীতে শোরগোল

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চম দফার লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Vote) শেষ হয়েছে। আগামীকাল ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণ। বর্তমানে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে। এরই মাঝে বাংলায় তৃণমূলের ফলাফল নিয়ে বিরাট ভবিষ্যদ্বাণী স্বয়ং তৃণমূলের (Trinamool Congress) সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। এবার লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে শাসকদলের প্রাপ্ত আসনের সংখ্যা বাড়বে। তবে কতগুলি বাড়বে, সেই নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বললেন না অভিষেক।

ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অভিষেকের দাবি, গতবারের থেকে এবারে বাংলায় তৃণমূলের আসন সংখ্যা বাড়বে। ২০১৯ সালে তৃণমূল পেয়েছিল ২২টি আসন। অভিষেকের বলেন, ‘২২-র মধ্যে যদিও পরবর্তীকালে দু’জন চলে গিয়েছিলেন। তো আমি ২২-ই ধরছি। এবারের ফলাফলে আমি এটা বলছি যে ২২-র বেশি হবে। সেটা ২৩-ও হতে পারে। ২৮-ও হতে পারে। ৩০-ও হতে পারে। আবার সেটা ৩৪-ও হতে পারে।’

   

অর্থাৎ অভিষেকের কথায় তাদের জয়ের তরী থমকে যেতে পারে ২৩-এও। ভোটের মাঝে অভিষেকের এবারের ভবিষ্যদ্বাণী কোনোভাবেই ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে মিলছে না। সেবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্লোগান তুলেছিলেন ৪২-এ ৪২ হবে। তবে সেই আশা কার্যত জলে যায়। সেই ভোটের পর এবারে যখন তৃণমূল তরফে আসন নিয়ে কথা হচ্ছে তখন ভুলেও ‘৪২-এ ৪২’ বলা হচ্ছে না।

তবে বাংলার সব আসন নিয়ে জোর না দেখালেও নিজের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে জয়ের মার্জিনটা চার লাখের গণ্ডি পার করানোর ‘টার্গেট’ দিয়েছেন অভিষেক। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ডায়মন্ড হারবার থেকে ৩২০,৫৯৪ ভোটে জয়লাভ করেছিলেন অভিষেক। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে এবারে তা চার লাখের ওপরে রাখা অভিষেকের কাছে অসম্ভব বলে কিছু নয়। এই কেন্দ্র থেকে দুবারের সাংসদ অভিষেক। এবার হ্যাট্রিকের পথে তৃণমূলের সেনাপতি।

Diamond Harbour TMC candidate Abhishek Banerjee challenges opposition

আরও পড়ুন: একেই ঝুলছে চাকরি! এবার আরও বিপাকে SSC-র ২৬০০০ শিক্ষক, সুপ্রিম নির্দেশ নিয়ে তোলপাড়

পাঁচ দফায় পশ্চিমবঙ্গের ২৫টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। আর ১৭টি আসনে ভোটগ্রহণ বাকি। শনিবার ষষ্ঠ দফায় আটটি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এরপর ১ জুন সপ্তম দফায় ভোট হবে পশ্চিমবঙ্গের ন’টি লোকসভা কেন্দ্রে। সপ্তম ও শেষ দফায় ভোট রয়েছে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রেও।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর