বাংলাহান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল (tmc) দুষ্কৃতীদের হাত থেকে দলীয় কর্মীদের রক্ষা করতে, গিয়ে উল্টে নিজেই আহত হলেন জলপাইগুড়ির বিজেপির (bjp) সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায় (Jayanta Kumar Roy)। সেইসঙ্গে মারাত্মক ভাবে আহত হন মহম্মদ কাবুল নামে এক বিজেপি কর্মী। আহতদের উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার এই ঘটনাটি ঘটে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের আওতাধীন জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের বিন্নাগুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভান্ডারিগছ গ্রামে। নির্বাচন পরবর্তীতে ওই গ্রামের প্রায় ৩৯ জন নারী-পুরুষ ঘর ছাড়া থাকা, তাঁদের ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল ঘটনার দিন।
West Bengal | He was attacked on the head, suffered a blow on the abdomen. His condition is stable, no obvious injuries visible: Dr. AN Sarkar, Head of Dept-Surgery, North Bengal Medical College & Hospital, Siliguri pic.twitter.com/Ln2HgNYghI
— ANI (@ANI) June 11, 2021
গোপাল রায় নামে এক স্থানীয় নেতা জানিয়েছেন, ঘরছাড়াদের ফিরিয়ে আনার প্রসঙ্গে প্রথম থেকেই ঢিলেমি দিচ্ছিল পুলিশ। পরবর্তীতে থানার বড়বাবু তাঁকে ফোন করে জানান, ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের শুক্রবার বিকেল ৪ টের সময় পুলিশি পাহারায় ফিরিয়ে আনা হবে।
থানার বড়বাবুর কথা মত তাঁরা সেখানে পৌঁছালে, তাঁদের উপর লাঠি বাঁশ নিয়ে চড়াও হয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ির বিজেপির সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায়ও। তাঁকে ছেড়ে দেয় না দুষ্কৃতীরা। বিজেপি কমীদের রক্ষা গিয়ে আহত হন তিনিও। সেইসঙ্গে বেশকয়েকজন বিজেপি কর্মীরাও গুরুতর আহত হন।
এই ঘটনার প্রসঙ্গে জয়ন্ত রায় জানিয়েছেন, ‘বিকেল ৫ টা নাগাদ তৃণমূলের গুন্ডারা বাঁশ এবং লাঠি দিয়ে আমার উপর হামলা করে। আমার হাতে এবং মাথায় আঘাত লাগে। সেইসঙ্গে আহত হয়েছেন বিজেপির কর্মীরাও। বাংলার আইন শৃঙ্খলা ভেঙে গিয়েছে’।
Siliguri | Around 5pm today, I was attacked by TMC goons. They attacked me with bamboo sticks on my head & arms. Few others who were with me were also attacked. There is no rule of law in West Bengal: Dr. Jayanta Kumar Roy, MP Jalpaiguri#WestBengal pic.twitter.com/QOEXVa09uF
— ANI (@ANI) June 11, 2021
অন্যদিকে বিজেপির উপর হওয়া এই হামলাকে গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের জলপাইগুড়ির জেলা সভাপতি কৃষ্ণ কুমার কল্যাণী। স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূলের দিকে ওঠা অভিযোগের তীর অস্বীকার করেছেন তিনি।