বাংলা হান্ট ডেস্কঃ করোনা কাঁটায় এখনও আটকে বাংলার উপ-নির্বাচন। নন্দীগ্রামে (Nandigram) পরাজয়ের পরেও সাংবিধানিক নিয়ম মেনে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি। যার জেরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari ) ভাষায় বলতে গেলে তিনি এখন ‘নন এমএলএ সিএম’। সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী শপথ নেবার ছয় মাসের ভিতর উপনির্বাচন জিতে মুখ্যমন্ত্রী পদে ফিরে আসতে হবে তাকে। গত ৫ জুন শপথ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, তাই তার কাছে সময় রয়েছে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত। ইতিমধ্যেই তার জন্য ভবানীপুরের আসন ছেড়ে দিয়েছেন বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। উপ-নির্বাচনে তিনিও লড়বেন খড়দহের আসন থেকে।
এবার উপ-নির্বাচনে যে ৭ টি কেন্দ্রে ভোট রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে খড়দহ, গোসাবা, জঙ্গিপুর, সামসেরগঞ্জ, ভবানীপুর, শান্তিপুর ও দিনহাটা। শান্তিপুর এবং দিনহাটা থেকে জেতার পরেও বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার ও নিশীথ প্রামানিক পদত্যাগ করেছেন। অন্যদিকে খড়দহ, গোসাবা, জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জ প্রতি ক্ষেত্রেই প্রার্থীদের মৃত্যু ঘটেছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন বাংলায় উপনির্বাচন হবে এই প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনও কোনো নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেননি।
এর আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন, প্রচারে মাত্র সাত দিন সময় দিলেই চলবে। এবার সেই সূত্র ধরেই উপ নির্বাচনের দাবি জানাতে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল। করোনার উদ্বেগ এখন কিছুটা কমেছে বাংলায়। সেই কারণেই এই সময়টিকে উপ-নির্বাচন করার জন্য আদর্শ সময় বলে মনে করছেন তৃণমূল প্রতিনিধিরা।
এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ জানান, ‘‘যে হেতু সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তাই ছ’মাসের মধ্যে উপ-নির্বাচন হওয়া উচিত। তা ছাড়া কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে অনেক কমে গিয়েছে। রাজ্য সরকার ও প্রশাসন যা যা করণীয়, সবকিছু করছে। ফলে এটাই কিন্তু আইডিয়াল সময় উপনির্বাচনটা করে নেওয়ার।’’