বাংলা হান্ট ডেস্ক : শক্তিগড়ে গুলি চালানোর ঘটনায় মৃত রাজু ঝাঁ। তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে রাজ্যে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। এবার কয়লা মাফিয়ার সঙ্গে বিজেপির (BJP) যোগ নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে পদ্ম শিবির। বিজেপির বিড়ম্বনা আরও বাড়িয়েছে প্রাক্তন সাংসদ তথা বর্তমানে রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)।
বাবুলের অভিযোগের তির বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দিকেই তাক করা। বাবুলের দাবি, কৈলাস ও দিলীপের হাত ধরেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজু ঝাঁ। ইডি-সিবিআই থেকে বাঁচতে বিজেপিতে যোগ দেন রাজু। শনিবার রাতে শক্তিগড়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটার পরই টুইট করে কৈলাস-দিলীপ-সহ বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলেন বাবুল। একইসঙ্গে কেন অভিযুক্তরা ইডি-সিবিআইয়ের জেরা থেকে রেহাই পেয়ে যাচ্ছেন, তা নিয়ে খোঁচা দেন তিনি। এদিন বাবুল পরপর বেশ কয়েকটি টুইট করেন। প্রথম টুইটে তিনি দাবি করেন, রাজু ঝাঁকে নিয়েই তাঁর সঙ্গে বঙ্গ বিজেপির কিছু নেতার চূড়ান্ত মতবিরোধ হয়।
বাবুল বলেন, ‘রাজুকে ঘটা করে বিজেপিতে যোগদান করায় দিলীপ ঘোষ ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এবার এরা বলবে ‘চিনি না’!’ শুধু কৈলাস-দিলীপ নয়, রাজ্যের মন্ত্রী নিশানা করেছেন বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘড়ুইকেও। তাঁর দাবি, রাজুকে বিজেপিতে আনতে মধ্যস্থতা করেন লক্ষ্মণই। জানা যাচ্ছে, রাজু ঝাঁ আসানসোল-দুর্গাপুর এলাকায় কয়লা মাফিয়া হিসেবে পরিচিত। গরু পাচারের কিংপিন আবদুল লতিফের সঙ্গেও তাঁর যোগ ছিল বলে সূত্রের দাবি।
সিপিএমের হাত ধরে উত্থান। তবে সিবিআই-ইডির নজরে পড়তেই তাঁর রাজনৈতিক কাজকর্ম অনেকটা কমে আসে। বরং সামাজিক কাজে যুক্ত ছিলেন তিনি। ২০২১ সালে নির্বাচনের আগে দিলীপ ঘোষের সভায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ভোটের আগে জান লড়িয়ে দিয়েছিলেন রাজু ঝাঁ। তবু টিকিট পাননি তিনি। তারপর থেকে নিষ্ক্রিয় ছিলেন রাজু। সিআইডির হাতে গ্রেপ্তারও হয়েছেন রাজু।
বাবুল সুপ্রিয়ো এদিন প্রশ্ন তোলেন, ‘এই সমস্ত দুষ্টু লোকরা কীভাবে ইডি-সিবিআইয়েক তালিকা থাকে উধাও হয়ে যাচ্ছে? এর কোনও যুক্তিযুক্ত জবাব দিতে পারবে বিজেপি?’ তবে এ প্রসঙ্গে অবশ্য দিলীপ ঘোষ এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।