বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতের (Indian Navy) নৌ সেনার শক্তি বাড়াতে এবার বড় উদ্যোগ। ভারতের সমুদ্র পথে ঝড় তুলতে আসছে তিনটি রণতরী। শত্রুপক্ষের ঘুম ওড়াতে ভারতের বাজি আইএনএস সুরাট, আইএনএস নীলগিরি এবং আইএনএস ভাগশীর। সামুদ্রিক নিরাপত্তা জনিত বিষয়ে গোটা বিশ্বে প্রথম সারিতে জায়গা করে নেওয়া এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা।
খেল দেখাবে ভারতের নৌ বাহিনী (Indian Navy)
সমর বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের (India) সামুদ্রিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি, সীমান্তে নজরদারি আরো তীক্ষ্ণ করতে ও নৌ সেনার সামগ্রিক ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপে এটি। ভারতের নৌ সেনার হাতে নতুন এই তিনটি রণতরী এসে যাওয়ার ফলে গোটা বিশ্বে যে ভারতীয় নৌ সেনার ক্ষমতা অনেকটাই বৃদ্ধি পেল তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
১৭এ স্টিলথ ফ্রিগেট প্রকল্পের প্রথম রণতরী হল আইএনএস নীলগিরি। নৌসেনার (Indian Navy) ওয়ারশিপ ডিজাইন ব্যুরো এই রণতরীর ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করে। অত্যন্ত পরাক্রমণশীল এই রণতরীটি অন্যান্য যুদ্ধ জাহাজের থেকে বেশ খানিকটা বেশি সময় ধরে ভেসে থাকতে পারে সমুদ্রে। ১৫বি ক্লাস গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার প্রকল্পের চতুর্থ এবং শেষ জাহাজ আইএনএস সুরাট।
আরোও পড়ুন : হেলে পড়া বেআইনি বহুতল কাণ্ডে নাম জড়াল TMC কাউন্সিলরের! বিস্ফোরক অভিযোগে তোলপাড়
বিশ্বের উন্নত ডেস্ট্রয়ারগুলির মধ্যে একটি এটি। দেশের মাটিতে এই রণতরীর ৭৫% অংশ নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি, আইএনএস ভাগশির তৈরি হয়েছে ফরাসি নৌ বাহিনীর সহায়তায়। পি৭৫ স্করপিন প্রকল্পের ষষ্ঠ এবং শেষ সাবমেরিন আইএনএস ভাগশির। লুকিয়ে চিন (China) পাকিস্তানের (Pakistan) মত শত্রুদেশের উপর নজরদারি চালাতে আইএনএস ভাগশিরের গুরুত্ব অপরিসীম।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে মহারাষ্ট্রে এই তিন নতুন রণতরীর মাধ্যমে আরো শক্তিশালী হবে ভারতীয় নৌ সেনা। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন উদ্বোধন করতে চলেছেন ইসকন প্রকল্পের অধীনে শ্রী শ্রী শ্রী রাধা মদনমোহনজি মন্দিরের। দেবদেবীর মন্দির, একটি বৈদিক শিক্ষা কেন্দ্র, একটি প্রস্তাবিত জাদুঘর, একটি চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে এই প্রকল্পের ৯ একর এলাকা জুড়ে।