বাংলাহান্ট ডেস্ক : বুনো ওলকে শায়েস্তা করার জন্য যেমন ঠিক সময় মতো দিতে হয় বাঘা তেঁতুল, ঠিক তেমনি পদ্ম শিবিরের নেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের ভার এবার দেওয়া হল তৃণমূলের “খারাপ সময়ের সৈনিক” কুণাল ঘোষকে। হলদিয়া পুরভোট ও আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূল নিজের পোক্ত ঘাঁটি গাড়তে ,পথের কাঁটা শুভেন্দু অধিকারীকে সরাতে নতুন করে গুটি সাজাচ্ছে তৃণমূল।
বহুদিন যাবৎ তৃণমূলের হয়ে প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যুক্ত থাকলেও এর আগে কখনোই কুণাল ঘোষকে তার নিজস্ব এলাকা কলকাতার বাইরে এক পাও রাখতে হয়নি। কিন্তু এবারে পূর্ব মেদনীপুরের শুভেন্দু অধিকারী কে নাকাল করতে শাসক দল বেছে নিল কুণাল ঘোষকে। তাই কুনাল পাড়ি দিলেন হলদিয়া। বিশেষভাবে তারই জন্য হলদিয়ায় নেওয়া হল একটি বাড়ি । যেখানে বসে তিনি মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে।
চলতি মাসের প্রথম দিনেই ,অর্থাৎ মঙ্গলবার পয়লা নভেম্বরেই শাসকদল পূর্ব মেদনীপুরের সকল “ভার” তুলে দিলো কুণালের কাঁধে। সূত্রে খবর , কুনাল নিজেও বেশ চাপেই আছেন তার এই “নিউ অ্যাসাইনমেন্ট” এর জন্য। নিজের দলের ভিত আরো মজবুত করতেই তৃণমূলের এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে। আর সেই জন্যই তড়িঘড়ি মঙ্গলবারই কুণালের হলদিয়ার নতুন বাড়িতে “গৃহপ্রবেশ “এর আয়োজন করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে শাসক দলের মুখপাত্র জানিয়েছেন, “আমি সর্বদাই দলের হয়ে কাজ করেছি এবং অনুগত থেকেছি। দলের খারাপ সময়ও দলের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি সর্বতোভাবে। দল আমায় এর আগেও নানান দায়িত্ব দিয়েছেন , আর এইবারের দায়িত্বও আমি মাথা পেতে নিয়েছি। পিছিয়ে যেতে চাই নি। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমায় শুধু হলদিয়া নয়, পূর্ব মেদিনীপুরের প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যে সমন্বয় স্থাপনের দায়িত্ব দিয়েছেন এবং আমি তা যথাযথভাবে পালন করব।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও নন্দীগ্রামে দলের কর্মীদের পারস্পরিক সম্পর্কের মধ্যে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং জনসংযোগের স্বার্থে কুণাল বিশেষ তৎপরতা দেখিয়েছিলেন। মমতার নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ান অভিমান করেছিলেন দলের ওপর। তখন তার সাথে কথা বলতে এক্কেবারে তার বাড়িতে গিয়ে সটান হাজির হন কুণাল এবং বিজয়া সম্মেলনীতে তাকে নিয়েই সেই অনুষ্ঠানে পদার্পণ করেন তিনি। এবার ‘শুভেন্দু-কাঁটা’ ওপড়ানোর গুরুদায়িত্ব সেই কুণালের উপর এসে পড়েছে বলেই তৃণমূলের একাধিক সূত্রের দাবি।