বাংলা হান্ট ডেস্ক : চিটফান্ড কেলেঙ্কারি নিয়ে বেশ কয়েকবছর ধরে সরব হয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। সারদা প্রকাশ্যে আসার পর একে একে সমস্ত ছোট বড় চিটফান্ডগুলি ক্রমশই সামনে এসেছে। যদিও এখনও অবধি দেশের আনাচে কানাচে বেশ কয়েকটি ছোট ছোট চিটফান্ড নতুন করে মাথা চাড়া দিয়েছে কিন্তু এরই মধ্যে দেশ থেকে চিটফান্ড বন্ধ করতে উঠেপড়ে লেগেছে কেন্দ্র।
যেকোনো আর্থিক দুর্নীতি এড়াতে কেন্দ্রের তরফ থেকে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাই এরই মধ্যে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই পাশ হল চিটফান্ড সংশোধনী বিল। আর যুক্ত হল বেশ কয়েকটি নতুন শব্দ। যার মাধ্যমে চিটফান্ড আইনকে আরও কঠোর করে তোলা যাবে। আর সেই নতুন সংযোজিত শব্দ গুলি হল ফ্র্যাটারনিটি ফান্ড, রোটেটিং সেভিংশ, ক্রেডিট ইনস্টিটিউশন।
বুধবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের তৃতীয় দিনে সংসদে চিটফান্ড সংশোধনী আইন বিল পাশ করানো হয়েছে। একইসঙ্গে বদল হয়েছে বেশ কিছু নিয়মের।এবার থেকে একটি টাকার পরিমানে যদি এক বা তিন জন অংশী দার থাকেন সেক্ষেত্রে এক থেকে তিন লক্ষ অবধি টাকা তোলা যাবে। যবে অংশী দারের সংখ্যা বাড়লে টাকা তোলার পরিমানও বাড়বে। একইসঙ্গে বাজার থেকে এই টাকা যাঁরা তুলবেন তাঁদের লভ্যাংশও বাড়িয়ে করা হয়েছে 7 শতাংশ।
আসলে চিটফান্ড সংশোধনী আইনের মধ্য দিয়ে দেশ থেকে পাকাপাকি ভাবে এই ব্যবস্থা আরও কঠোর করতে চাইছে মোদী সরকার। যদিও এর আগে লোকসভার অধিবেশনে চলতি বছরেই বিলটির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। বাদল অধিবেশনেও বিলটি পেশ করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে সিলমোহর পড়ল শীতকালীন অধিবেশনে।
পশ্চিমবঙ্গে চিটফান্ড কেবেঙ্কারিতে পা দিয়ে যেভাবে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মানুষ ক্ষতির মুখে পড়েছিল তাই সেখান থেকে সাধারণ মানুষকে অব্যাহতি দিতে চিটফান্ড দমনে কড়া আইন আনল কেন্দ্র। যার মাধ্যমে কিছুটা হলেও অনিয়ন্ত্রিত আমানত স্কিমে প্রচার, বিজ্ঞাপন দেওয়া বা আমানত গ্রহণের ক্ষেত্রে আমানত গ্রহণকারীদের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে।