দ্রুত গতিতে সম্পন্ন হতে চলেছে নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের প্রোজেক্ট কাশী বিশ্বনাথ ধাম, বাড়ছে কর্মীসংখ্যা

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (narendra modi) স্বপ্নের প্রোজেক্ট কাশী বিশ্বনাথ ধামে (kashi Bishwanath dham)  নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই কারনে এই প্রোজেক্টে কাজ করা কর্মীর সংখ্যা বাড়িয়ে দেড় হাজার করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। পাথরের কাজ শুরুর পরে আরো বেশী কর্মীর প্রয়োজন তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

জয়পুর ও মাউন্ট আবু থেকে পাথর আসছে কাশী বিশ্বনাথ ধামের কাজ সম্পূর্ণ করবার জন্য। এই পাথর পরিবহনের জন্যও প্রচুর লোকের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কাশী বিশ্বনাথ ধামে কর্মরত প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে । জানা যাচ্ছে, স্বাস্থ্য বিভাগকে সেখানে একটি ক্যাম্প তৈরি করে করোনা পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, কাশী বিশ্বনাথ ধাম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্নের প্রকল্প। ঢেলে সাজানো হবে এই তীর্থস্থানকে৷ ভক্তরা গঙ্গা স্নানের পর সরাসরি বাবা বিশ্বনাথের দরবারে প্রবেশ করবেন।

তীর্থযাত্রীদের জন্য ভোগশালা, যাত্রী সুবিধা কেন্দ্র, হস্তশিল্প ও স্যুভেনির শ্যাপ, বহুমুখী হল, গ্যালারী, সিটি মিউজিয়াম, বৈদিক কেন্দ্র, খাবারের দোকান ছাড়াও ধর্মীয় বইয়ের স্টল তৈরি করা হচ্ছে। নির্মাণ করা হবে একটি গ্যালারিও। যেখানে কাশীর ঐতিহ্য ও আধ্যাত্মিকতা প্রদর্শনী হবে। সব মিলিয়ে নতুন করে সেজে উঠবে কাশী।

স্কন্দ পুরাণের কাশীখণ্ডে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের উল্লেখ পাওয়া যায়। একাদশ শতাব্দীতে হরি চন্দ্র মন্দিরটি পুনর্নির্মাণ করেছিলেন। ১১৯৪ সালে মহম্মদ ঘোরি বারাণসীর অন্যান্য মন্দিরগুলির সঙ্গে এই মন্দিরটিও ধ্বংস করে দেন। এরপরেই আবার মন্দিরটি পুনর্নির্মিত হয়। এরপর কুতুবুদ্দিন আইবক মন্দিরটি ধ্বংস করেন।আইবকের মৃত্যুর পর মন্দিরটি আবার নির্মিত হয়।

১৩৫১ সালে ফিরোজ শাহ তুঘলক মন্দিরটি আবার ধ্বংস করেন। ১৫৮৫ সালে আকবরের রাজস্বমন্ত্রী টোডরমল আবার মন্দিরটি পুনর্নির্মাণ করেন। এরপর ১৬৬৯ সালে ঔরঙ্গজেব পুনরায় মন্দিরটি ধ্বংস করে জ্ঞানবাপী মসজিদ তৈরি করান।

এই মসজিদটি আজও মন্দিরের পাশে অবস্থিত।মসজিদের পিছনে পুরনো মন্দিরের কিছু ধ্বংসাবশেষ আজও দেখা যায়। বর্তমান মন্দিরটি ১৭৮০ সালে ইন্দোরের মহারানি অহিল্যা বাই হোলকর তৈরি করে দিয়েছিলেন।১৮৩৫ সালে পাঞ্জাবের শিখ সম্রাট রঞ্জিত সিংহ মন্দিরের চূড়াটি ১০০০ কিলোগ্রাম সোনা দিয়ে মুড়ে দেন।

X