বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতীয়দের রান্নায় অন্যতম একটি উপকরণ হল টমেটো (Tomatos)। বিভিন্ন ধরনের সবজি ও তরকারি রান্নাতে টমেটো অপরিহার্য একটি অংশ। এছাড়াও স্যালাড তৈরিতে দরকার হয় টমেটোর। কিন্তু বিগত কয়েকদিনে টমেটোর দাম এতটাই ঊর্ধ্বমুখী যে আমজনতা রীতিমত ‘টমেটোহীন’ জীবন যাপন করছেন।
দেশের প্রতিটি কোণায় বৃদ্ধি পেয়েছে টমেটোর দাম। এমন অবস্থায় টমেটোর দামে লাগাম দিতে নতুন পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিগত এক মাসে হু হু করে বেড়েছে টমেটোর দাম। কোথাও টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কিলোতে, আবার কোথাও টমেটোর দাম ছুঁয়েছে ২৫০ টাকা কিলো। এত দাম দিয়ে টমেটো কেনার জন্য নাভিশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত মানুষদের।
এমন অবস্থায় কেন্দ্রের উপভোক্তা বিষয়ক বিভাগ বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করল টমেটোর দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য। জাতীয় কৃষি সমবায় বিপণন ফেডারেশন এবং জাতীয় সমবায় উপভোক্তা ফেডারেশনকে উপভোক্তা বিষয়ক বিভাগ নির্দেশ দিয়ে বলেছে, কৃষকদের থেকে সরাসরি টমেটো কিনে নিতে।
এরপর দেশের যে জায়গায় টমেটোর দাম অত্যাধিক বেশি সেই জায়গায় ওই টমেটো পৌঁছে দিতে। কেন্দ্রীয় সরকার মনে করছে টমেটোর জোগান বৃদ্ধি পেলেই কমতে পারে দাম। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে টমেটোর চাষ হয়ে থাকে। তবে সব থেকে বেশি টমেটো উৎপন্ন হয় অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক এবং মহারাষ্ট্রে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় টমেটো বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসে।
কেন্দ্রের উপভোক্তা বিষয়ক বিভাগ নির্দেশ দিয়েছে এই তিন রাজ্য থেকে টমেটো সংগ্রহ করার জন্য। এরপর কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে দিল্লির এনসিআর সহ বিভিন্ন জায়গায় টমেটো বিক্রি শুরু হবে আগামী শুক্রবার থেকে। বর্তমানে দেশের কোন কোন জায়গায় টমেটোর দাম বেশি রয়েছে সেই বিষয়ে একটি তালিকা তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সেই তালিকা অনুযায়ী পৌঁছে দেওয়া হবে টমেটো। গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশের মতো রাজ্য থেকে বর্তমানে টমেটো আমদানি করা হচ্ছে। হিমাচল প্রদেশ এবং কর্ণাটক থেকে টমেটো আসছে দিল্লির আশেপাশের জায়গাগুলিতে। এর ফলে টমেটোর দামে দেখা দিচ্ছে বিরাট ফারাক। সেই ঘাটতি পূরণ করার জন্যই এবার উদ্যোগী কেন্দ্রীয় সরকার।