বাংলাহান্ট ডেস্ক : শিক্ষা নিয়োগে দুর্নীতির (Scam) পর এবার পুরসভায় (Municiplity) নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের তরফ থেকে সিবিআই তদন্তের বিষয়টি তুলে ধরা হয়। শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে শুনানি ছিল বলেই জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে এমন কিছু তথ্য আসে যার থেকে একপ্রকার স্পষ্ট হয়ে যায় যে, দুর্নীতির ছায়া পড়েছে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রেও। এরপরেই, তারা আদালতে এই নিয়োগ মামলায় নতুন করে এফআইআর করে তদন্ত করতে চায় বলে জানায়। এই নতুন তদন্তের প্রসঙ্গ উঠতেই শাসক দল যে চাপে পড়বে একথা বলাই বাহুল্য।
এদিকে, অয়ন শীলের বাড়ি থেকে ওএমআর শিট পাওয়ার পর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তবে কি পুরসভা নিয়োগেও দুর্নীতি হয়েছে? ইডি সেই নিয়েই আলাদা করে তদন্ত করতে চায় বলে আদালতে জানায়। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, ‘সাধারণ মানুষ ১০ হাজার টাকা রোজগার করতে গিয়ে রীতিমতো যুদ্ধ করছে। আর রাজনৈতিক নেতাদের থেকে যখন তখন ৫০ কোটি ৪০ কোটি টাকা বেরিয়ে আসছে। এই টাকার মালিক সাধারণ মানুষ।’
এদিন বিচারপতি নির্দেশ দেন, সিবিআই প্রাথমিক তদন্ত করে ২৮ এপ্রিল রিপোর্ট দেবে আদালতে। রাজ্য পুলিশের ডি জি ও চিফ সেক্রেটারি জেলাগুলির এসপি, ওসি ও কমিশনারদের সিবিআই ও ইডি গেলে তাদের সঙ্গে সহযোগিতার নির্দেশ দেবেন বলে আশা রাখেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একইরকমভাবে নিজের মতো করে ইডিও তার তদন্ত চালিয়ে যাবে।
এদিনের শুনানিতে রাজ্যের তরফে কোনও আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইয়ের উদ্দেশে বলেন, ‘এই ব্যাপক দুর্নীতির তদন্তে আর কতজন আধিকারিক আপনাদের লাগবে আমাকে জানান। শেষ দু’মাসের থেকে এখন সিবিআই ভাল করছে। ইডিও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ভাল কাজ করছে।’