এখন খুব সহজেই হবে ‘কেদার’ দর্শন! দুর্দান্ত পরিষেবা চালু রেলের, শুনেই আনন্দে লাফাবেন

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ডিজিটাল ইন্ডিয়ার নতুন ফসল বন্দে ভারত। ইতিমধ্যে দেশের বেশ কিছু শহরে শুরু হয়েছে সেমি হাই স্পিড এই ট্রেনের পরিষেবা। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই সেমি হাই স্পিড ট্রেন ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলে দিয়েছে। প্রত্যেক রাজ্যের মানুষই চাইছেন তাদের জন্য অন্তত একটি করে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express) চালানো হোক।

সরকার ইতিমধ্যেই দেশের বেশ কিছু শহরে এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করেছে। দিল্লির আনন্দ বিহার থেকে দেহরাদুন পর্যন্ত বন্দে ভারতের সূচনা হয়েছে গত ২৫শে মে। রেল সূত্রে খবর, এই রুটে যাত্রীদের চাহিদা তুঙ্গে। সূচনা হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই এই ট্রেনে যাত্রা করার জন্য সকলের মধ্যে হিড়িক পড়ে গিয়েছে।

এমন অবস্থায় এই রুটে পর্যাপ্ত টিকিট পাচ্ছেন না যাত্রীরা। বহু যাত্রী রয়েছেন ওয়েটিং লিস্টে। এই রুটের বন্দে ভারতকে ঘিরে যাত্রীদের উন্মাদনার পিছনে কিন্তু বেশ বড় কারণ রয়েছে। দেহরাদুন থেকে খুব সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায় উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ, বদ্রীনাথ। আগে দিল্লি থেকে দেহরাদুন যাত্রা বড় সময় সাপেক্ষ একটি ব্যাপার ছিল।

এখন বন্দে ভারতের মাধ্যমে মাত্র ৪ ঘণ্টা ৪৩ মিনিটে দিল্লি থেকে পৌঁছে যাওয়া যাচ্ছে দেহরাদুন। ট্রেনটি সপ্তাহে ছয় দিন যাতায়াত করে। দিল্লি থেকে দেহরাদুনের ৩০২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে বন্দে ভারতের সময় লাগে ৪ ঘন্টা ৪৩ মিনিট। রেল জানাচ্ছে এই ট্রেনে যাত্রা করার জন্য লম্বা অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীদের। ৪ঠা জুন থেকে ১১ই জুন পর্যন্ত এক্সিকিউটিভ ক্লাসের টিকিটের জন্যও হাহাকার পড়ে গেছে।

kedar

 

শত শত মানুষ অপেক্ষা করছেন চেয়ারকার সিটের জন্য। এই রুটের বন্দে ভারতের চেয়ারকার সিটের ভাড়া মাথাপিছু ১০৬৫ টাকা। এক্সিকিউটিভ চেয়ারকার সিটের জন্য যাত্রীদের মাথাপিছু দিতে হয় ১৮৯০ টাকা। সপ্তাহে ছয় দিন এই ট্রেনটি দিল্লির আনন্দ বিহার স্টেশন থেকে ছাড়ে বিকাল ৫:৫০ মিনিটে এবং সেটি দেহরাদুন গিয়ে পৌঁছায় রাত ১০:৩৫ মিনিটে।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর