বাংলাহান্ট ডেস্ক : আমরা সকলেই জানি রেল (Indian Railways) যোগাযোগ আমাদের কাছে কতোটা গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ মানুষের রোজকার জীবনে রেল একটি অপরিহার্য যোগাযোগ মাধ্যম। শুধু লোকাল নয়, দূরপাল্লার ট্রেনগুলিও আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের কাছে খুবই প্রয়োজনীয় কারণ রেল সফর আরামদায়ক তো বটেই এবং প্লেনের তুলনায় অনেকটাই সস্তা। কিন্তু মাঝে মধ্যেই ট্রেনে ঘটে যাওয়া নানা জালিয়াতির খবর আমাদের চোখে পড়ে। তাই, আজ আমরা জেনে নেবো কীভাবে রক্ষা পেতে পারি আমরা এইসব জালিয়াতের হাত থেকে।
বর্তমানে বিভিন্ন প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে যাত্রীদের জন্য চালু করেছে অনলাইনে টিকিট বুকিং-এর ব্যবস্থা। তার জন্য আইআরসিটিসি একটি খুব সাধারণ প্রক্রিয়া চালু করে। যাত্রী তাঁর আইআরসিটিসির অ্যাকাউন্টে গিয়ে ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিলেই রেলের যাবতীয় সুবিধা পাওয়া যেত। টিকিট কাটা থেকে, দূরপাল্লার কোনো টিকিট অ্যাডভান্স বুকিং সবই করা সম্ভব হতো এর মাধ্যমে।
কিন্তু এতেও ধরা পড়েছে জালিয়াতি। এবং এই জালিয়াতি বেশী হতো দূরপাল্লার যাত্রার সময়ে। এই সমস্ত কারসাজি রুখতেই রেল চালু করলো নতুন ব্যবস্থা। এখন কোনো যাত্রী যদি অনলাইনে টিকিট কাটতে চান, তাঁকে আইআরসিটিসির ওয়েবসাইটে গিয়ে সেখানে শুধু ইউজার আইডি আর পাসওয়ার্ড দিলেই হবে না, তার জন্য যাত্রীকে তাঁর সম্পূর্ণ নাম অর্থাৎ পদবী সহ নাম লিখতে হবে। এবং অনলাইন বুকিং-এর সময় ক্যাপচা ক্লিয়ার করে, মোট ৪০ সেকেন্ডের মধ্যে বুকিং শেষ করতে হবে।
পাশাপাশি যখন যাত্রী ভ্রমণ করবেন, তাঁর সাথে যেন প্রমাণ স্বরূপ তাঁর সচিত্র পরিচয় পত্র থাকে। তাছাড়া যেসব যাত্রীদের একাউন্টে আধার কার্ড নম্বর সংযুক্ত করা নেই, তাঁরা মাসিক ১২টি এবং আধার কার্ড নম্বর যুক্ত থাকলে মাসিক ২৪টি টিকিট কাটা যাবে। আধার যুক্ত করা নেই আইআরসিটিসির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে যাত্রী যেন কোনোভাবেই কোনো দালালের মাধ্যমে টিকিট বুকিং না করেন। দালালরা এইসব জালিয়াতির পথ অবলম্বন করে টিকিট কাটতো। তাদের জালিয়াতি আটকাতেই আজ এতগুলি পদক্ষেপ নিলো ভারতীয় রেলওয়ে সংস্থা।