বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ প্রায় দীর্ঘ ১১ মাস পর আবার স্কুল খুলল। রাজ্যের সব স্কুলেই আজ পঠন-পাঠন শুরু হল আজ। দীর্ঘদিন ধরে যেমন পড়ুয়ারা স্কুল খোলার অপেক্ষায় ছিল, তেমনই অধীর আগ্রহে স্কুল খোলার অপেক্ষায় ছিলেন অভিভাবক আর স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। করোনা বিধি মেনেই স্কুলে শুরু হল পঠনপাঠন। স্কুলে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার সঙ্গে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিস্কার করারও ছিল সু বন্দোবস্ত। কিন্তু বাঁধ সাধল বামেদের ধর্মঘট।
গতকাল স্কুল খোলা, কর্মসংস্থান, শিল্প সমেত নানান দাবি নিয়ে নবান্ন অভিযান করেছিল বামেদের যুব সংগঠন। আর তাঁদের নবান্ন যাওয়া থেকে আটকাতে প্রস্তুত ছিল পুলিশ। জমকামান দিয়ে অভিযানকারীদের ছত্রভঙ্গ করা থেকে শুরু করে, লাঠিচার্জ পর্যন্ত হয়েছিল গতকালের মিছিলে। পুলিশের লাঠিচার্জে গতকাল অনেক বাম কর্মী-সমর্থকরা আহত হয়।
গতকাল পুলিশের লাঠিচার্জের বিরুদ্ধে আজ গোটা বাংলা ১২ ঘণ্টার জন্য বনধের ডাক দেয় বাম সংগঠন গুলো। আজ বামেদের ডাকা বনধে গোটা রাজ্যে মিশ্র প্রভাব দেখা গিয়েছে। তবে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় জোর করে দোকান বন্ধ, স্কুল বন্ধ করে দিতেও দেখা গিয়েছে বাম কর্মী-সমর্থকদের।
এরকমই ঘটনা ঘটে গেল শিলিগুড়ি বালিকা বিদ্যালয়ে। সেখানে বাম কর্মী-সমর্থকরা ইনকিলাব জিন্দাবাদ স্লোগান দিতে দিতে স্কুলে ঢুকে পড়ে। এরপর তাঁদের বিরুদ্ধে একাই রুখে দাঁড়ান স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। ধর্মঘটীদের রীতিমত ধমক দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেন তিনি।
প্রধান শিক্ষিকা বলেন, দীর্ঘ ১১ মাস পর স্কুলে খুলেছে আজ। আর আজকের দিনেই এভাবে স্কুল কেন জোর করে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে? তিনি বলেন, যারা শিক্ষিত তাঁরা অন্তত গার্লস স্কুলে ঢুকে এমন কাজ করবে না। গতকাল নবান্নে যা হয়েছে তাঁর জন্য তো আর স্কুলের পড়ুয়ারা দায়ি নয়। তাহলে কেন জোর করে স্কুলে ঢুকে এভাবে স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে?
প্রধান শিক্ষিকার রুখে দাঁড়ানোর পর বাম কর্মী-সমর্থকরা সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হয়। বামেদের তরফ থেকে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলা হয় যে, প্রধান শিক্ষিকা ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ” স্লোগান নিয়ে প্রশ্ন তুলে স্লোগানের অপমান করেছেন। এই স্লোগান স্বয়ং ভগৎ সিং দিয়েছিলেন, তিনি কীভাবে এই স্লোগানের বিরোধিতা করেন?