বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে একের পর আর ইস্যুতে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। মালদার মোথাবাড়িতে দুই গোষ্ঠীর অশান্তির ঘটনায় উত্তাল বাংলা। এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। আজ অর্থাৎ রবিবার সরজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মোথাবাড়ির পথে রওনা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই মাঝপথে তাঁকে আটকে দিয়েছে পুলিশ।
মোথাবাড়ি ঢোকার আগে বাধা পেয়ে বিস্ফোরক সুকান্ত (Sukanta Majumdar)
সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) দাবি বিজেপিকে আটকাতেই ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ। অথচ সেখানেই নাকি অবলীলায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন তৃণমূল বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন। পুলিশের এই বিমাতৃসুলভ আচরণ নিয়ে ক্ষোভ উড়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতা। এছাড়া এদিন বাধা পেয়ে সুকান্তর সঙ্গে রাস্তায় বসে পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা।মোথাবাড়ি হামলার সময় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়ে এদিন বিজেপি কর্মীদের স্লোগান ছিল, ‘পুলিশমন্ত্রী হায় হায়!’
আজ মোথাবাড়ি যাওয়ার পথে পুলিশের কাছে বাধা পাওয়ার পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন সুকান্তবাবু (Sukanta Majumdar)। তাঁর অভিযোগ, ‘পুরুষদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে, রাতে মহিলাদের অত্যাচার করছে পুলিশ।’ স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করে বিজেপি নেতা এদিন জানিয়েছেন,বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রীরা নিজেরা এসে স্থানীয়দের থেকে অভিযোগ নিয়ে তা জাতীয় মহিলা কমিশনে পাঠাবেন। একইসাথে পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ সুকান্ত এদিন দাবি করেছেন, ‘জেলার পুলিশ আধিকারিকদের দিল্লিতে ডেকে নিয়ে উপযুক্ত শাস্তি দিক জাতীয় মহিলা কমিশন।’
আরও পড়ুন: রাজ্য জুড়ে হিন্দুদের লাগাতার আক্রমণ! ‘প্রমাণ’ সহ আরও দুই গ্রামের চিত্র দেখালেন অমিত মালব্য, ভয়ঙ্কর!
বিজেপি নেতাদের এভাবে পথ আটকে দেওয়া নতুন নয় বলে জানিয়ে সুকান্ত বাবু বলেছেন, ‘এ, তো নতুন কিছু নয়। বিজেপির নেতারা গেলেই পুলিশের যত সমস্যা।’একইসাথে পুলিশকে পাল্টা আক্রমণের শুরে তাঁর প্রশ্ন,’শুধু বিজেপির জন্য ১৪৪ ধারা কেন থাকবে? নাকি পশ্চিমবঙ্গে শুধু তোষণের জন্য ১৪৪ ধারা তৈরি হয়েছে?’
এখানেই শেষ নয়। এরপর নিজের মন্তব্যের ঝাঁঝ আরও বাড়িয়ে সুকান্ত মজুমদারের প্রশ্ন ছিল ‘১৪৪ ধারা নাকি ১৬৩ ধারা কী লাগাবেন লাগান। কিন্তু, বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন চার পাঁচটা গাড়ি নিয়ে দাপিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাঁর জন্য ১৪৪ ধারা নেই?’ জানা যাচ্ছে, ‘মোথাবাড়িতে এখনও পর্যন্ত ১৯টি মামলা রুজু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মোট ৬১ জন গ্রেফতার হয়েছে।’ তবে মোথাবাড়ির ঘটনাকে পুরোপুরি পুলিশের ব্যর্থতার বলে দাবি করেছেন তিনি। এমনকি গোপন তথ্য ফাঁস করে দিয়ে এদিন তিনি দাবি করেছেন, মোথাবাড়ির ঘটনা পুরোটাই পূর্বপরিকল্পিত। তাঁর কথায়, ‘আমার কাছে,খবর আছে তৃণমূল কংগ্রেসের মালদহ জেলার হিন্দু নেতারাও মানছেন এটা পূর্বপরিকল্পিত।’