বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পদে পদে ভর্ৎসনা! আর জি কর (RG Kar Case) হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। গত ৯ সেপ্টেম্বরের পর এদিন তৃতীয় শুনানি চলছে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে। এদিন শুনানির শুরুতেই আদালতের প্রশ্নের মুখে রাজ্য।
রাজ্য সরকারের (Government Of West Bengal) রাত্তিরের সাথী নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি। আর জি কর ঘটনার পর সম্প্রতি রাতে মহিলা নিরাপত্তার জন্য একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে মমতা সরকার। মহিলা চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তায় বিশেষ কর্মসূচি চালু করা হয়েছে রাজ্য তরফে। যেখানে বলা হয়, এবার থেকে মহিলা চিকিৎসক ও নার্সদের ১২ ঘণ্টার বেশি যেন ডিউটি শিডিউল না হয় সেই বিষয়ে নজর রাখা হবে।
মহিলা চিকিৎসকদের নাইট ডিউটি কম দেওয়া বা প্রয়োজনে না দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায় রাজ্য। এই নিয়েই এবার সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে মমতা সরকার। কেন এমন বিজ্ঞপ্তি দিল রাজ্য, তা জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। রাতে কেন মহিলারা কাজ করতে পারবেন না? প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।
আদালতের প্রশ্ন, মহিলারা রাতে কাজ করতে পারবেন না, কোন যুক্তিতে এই সিদ্ধান্ত? কেন মহিলা ডাক্তারদের সীমা বেঁধে দিচ্ছে? মহিলা ডাক্তাররা নিজেরাই এই ছাড় চান না। তারা রাতেও ডিউটি করতে প্রস্তুত। আপনাদের উচিৎ তাদের নিরাপদ রাখা। আপনাদের উচিৎ তাদের কাজে নিরাপত্তা দেওয়া। পাইলট, সেনা, সবেতে রাতে কাজ হয়। ডাক্তাররা কেন করতে পারবেন না? এরপরই রাজ্যকে বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করা উচিত বলে মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের।
আরও পড়ুন: বিকেল ৪টেয় পদত্যাগ! বিনীতের পর নতুন পুলিশ কমিশনার কে হবেন? প্রকাশ্যে চার নাম
এদিন মামলার লাইভ স্ট্রিমিং-এর বিরোধিতা করেন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল (Kapil Sibal)। লাইভ স্ট্রিমিং বন্ধের আর্জি জানান তিনি। যদিও রাজ্য সরকারের আইনজীবীর আর্জি খাজির করেন প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘লাইভ স্ট্রিমিং বন্ধ হবে না। এই মামলা জনস্বার্থ সম্পর্কিত।’ আদালতে মুখ বন্ধ খামে তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই (CBI)। রাজ্য, জুনিয়র চিকিৎসক, সিবিআই সহ সব পক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত রয়েছেন। চলছে শুনানি।