শীতে প্রায় জুবুথুবু অবস্থা গোটা রাজ্যবাসীর । কয়েকদিন ধরেই তীব্র শৈত্য প্রবাহে ভুগছে কলকাতা তথা রাজ্যবাসী। উত্তরের দার্জিলিং এর পাশাপাশি জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদহ, বর্ধমান, নদীয়া, প্রভৃতি জেলাগুলিতেও হারহিম করা ঠাণ্ডা পরেছে। পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে উত্তরের জেলা দার্জিলিং এর তাপমাত্রা গতকাল প্রায় ১ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নেমে গিয়েছিল।
এছাড়াও পশ্চিমের পুরুলিয়ার তাপমাত্রা প্রায় ৭ ডিগ্রীতে এবং বাঁকুড়ার তাপমাত্রা আট ডিগ্রী সেলসিয়াস ছিল। পশ্চিম বর্ধমান জেলার শিল্প নগরী দুর্গাপুর ও আসানসোলের তাপমাত্রা ছিল ৮ ডিগ্রী। কলকাতার তাপমাত্রা ১১.৪ ডিগ্রীর আশেপাশে ছিল। শনিবার কোথাও বৃষ্টিপাত হয়নি। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া তে পুরুলিয়াতে তুষারপাত হয়েছে বলে বিভিন্ন পোস্ট ছড়িয়ে পরে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন এমন টা নাও হতে পারে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে , রবিবার কলকাতার তাপমাত্রা থাকবে সর্বোচ্চ ২১ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন থাকবে ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস । আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা হেরফের হবে না খুব একটা। এছাড়াও বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রতা থাকবে সর্বোচ্চ শতকরা ৯৭ ভাগ ও সর্বনিম্ন শতকরা ৬০ ভাগ। আজ ছুটির দিনে আকাশ পরিস্কার থাকবে , বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই।
শহরে এখন উৎসবের আমেজ। সবে বড়দিন শেষ হয়েছে। সামনেই বর্ষবরণ। শহরবাসী উৎসুক নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় পর্যটকের ঢল নেমেছে। শীতকে উপেক্ষা করেই বহু মানুষ পাহাড়েও গেছেন বেড়াতে। শনিবার তুষারপাত হয়েছে শহরের বিভিন্ন জায়গায়। নতুন বছরের আগেই তুষারপাতের ফলে পর্যটকরা দ্বিগুণ আনন্দে মেতে উঠেছেন। এরই মাঝে আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে নিম্নচাপের ফলে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ১লা থেকে ৩রা জানুয়ারী বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর উৎসব মাটি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।