বাংলা হান্ট ডেস্কঃ “Top of the List” বা তালিকার শীর্ষে রাখা হলেও লাভের লাভ কিছুই হল না। বহুদিনের অপেক্ষা জল। আশঙ্কা সত্যি করে ফের পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার (DA Case) শুনানি। ৭ই মে, বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলাটি (Dearness Allowance) সুপ্রিম কোর্টের ৫ নম্বর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল।
কেন পেছাল DA মামলার শুনানি? Dearness Allowance
আদালত সূত্রে খবর, অন্য একটি জরুরি মামলায় ব্যস্ত থাকার কারণে ডিএ মামলার শুনানি সম্ভব হয়নি। এরপর গ্রীষ্মাবকাশের পর অর্থাৎ জুলাই মাসে শুনানির দিন রাখার জন্য এদিন আদালতে আর্জি জানান রাজ্যের আইনজীবী। পাল্টা এর বিরোধীতা করেন সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি। এরপরই ডিএ মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৪ মে দিনটি ধার্য করা হয়েছে।
ফের একবার ডিএ মামলা পিছিয়ে যাওয়ায় হতাশ সরকারি কর্মীরা। এই বিষয়ে সরকারি কর্মচারী পরিষদের রাজ্য সভাপতি দেবাশিস শীল বলেন, “আবার একটি তারিখ পড়ল।” কিন্তু তিনি আশাবাদী। জোর গলায় বলেন, “আমরা এখনও বলছি যে রাজ্য সরকারের খেলা শেষ হয়ে এসেছে। এই মামলার শুনানি হবেই। রাজ্য সরকারের মুখ পুড়বে। পশ্চিমবঙ্গের সরকারী কর্মচারী, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, পেনশনাররা জয় পাবেন।”
দু’দিন আগেই রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় রাজ্য সরকারকে তোপ দেগে বলেন, রাজ্য সরকার চেষ্টা করে আসছে, যাতে ডিএ মামলা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়। ‘আমরা মনে করি তাতে সাফল্য পেয়েছে (রাজ্য সরকার)।’
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মামলা প্রথম বার সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল। তারপর গত বছর ডিসেম্বরে মামলাটি শেষ বার শুনানির জন্য উঠেছিল। ২০২২ সালের ২০ মে ডিএ মামলা হাইকোর্টে উঠলে আদালতের নির্দেশ ছিল, তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। তবে উচ্চ আদালতের ডিএ (Dearness Allowance) রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য। যদিও তা খারিজ হয়ে যায়।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/qY-YipN5WE0?si=qKkfl8JYbH9aBwqB
এদিকে এরই মাঝে তিনটি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার দায়ের করে। সেই মামলার মধ্যেই পাল্টা শীর্ষ আদালতে যায় রাজ্য। উচ্চ আদালতে ডিএ মামলাকারীরা জয় পেয়েছিল। গত ২০২২ সালের ২০ মে হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। এরপরই রাজ্য সরকার স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করে। সেই প্রেক্ষিতেই মামলা শুরু হয় সুপ্রিম কোর্টে। ২০২২ থেকে ২০২৫, এখনও সেই মামলা ঝুলে রয়েছে।