বাংলাহান্ট ডেস্কঃ অক্টোবরের শেষ থেকেই আবহাওয়ার (Weather) পারদ কমতে শুরু করেছিল। পুজোর পর এক ধাক্কায় বেশ কিছুটা কমে গিয়েছিল বাংলার তাপমাত্রা। বেশ ঠাণ্ডা অনুভূত হতে শুরু করে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই কনকনে ঠাণ্ডার আগমনের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আজকের আবহাওয়া
বর্তমান সময়ে বাংলার আবহাওয়া প্রচন্ড দাবদাহ, প্রবল বৃষ্টিকে পার করে কনকনে ঠাণ্ডার দিকে এগোচ্ছে। হাওয়া অফিসের আশঙ্কা, চলতি বছরে এমন ঠাণ্ডা অনুভুত হতে চলেছে, যা বিগত ৫৮ বছরেও মানুষ অনুভব করেনি। হাড়কাপানো ঠাণ্ডার জন্য আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার পূর্বাভাস সিয়েছে আবহাওয়াবিদরা।
আজকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। আজ আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বাংলার আকাশে সকালের দিকে মূলত আবছা থাকবে এবং রাতের দিকেও আবছা আকাশ থাকার সম্ভবনা রয়েছে।
রেকর্ড হারে কমছে তাপমাত্রা
ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা বেশ খানিকটা নেমে গিয়েছে। নভেম্বরের দ্বিতীয় দিনেই দিল্লিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০-এ নেমে গিয়েছিল। এর আগে, দিল্লির তাপমাত্রা গত ২৬ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। ২৯ অক্টোবর দিল্লি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছিল যা ১৯৯৪ সালের পর থেকে অক্টোবরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এখনো পর্যন্ত ১৯৩৭ সালের ৩১ অক্টোবর দিল্লিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অন্যান্য রাজ্যের পরিস্থিতি
ভারতের অন্য রাজ্যগুলির মধ্যে জম্মু-কাশ্মীর, শ্রীনগরে তাপমাত্রা শূন্য। লুধিয়ানা, পাঞ্জাব পুনে ও দেরাদুনের তাপমাত্রা ১৪.৩ ডিগ্রী। হিমাচল প্রদেশের লাহুল-স্পিটিতে তুষারপাত শুরু হয়েছে। কাইলং অঞ্চলে তুষারপাতের কারণে, বরফের চাদর জমি থেকে প্রায় 8 ইঞ্চি বেড়েছে। উঁচু পর্বতমালা ও হিল স্টেশনগুলি আরও সুন্দর দেখাতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস শূন্য দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।