বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মঙ্গলবারের পর বুধবার যেন আরও বেশি করে ঘিরে রয়েছে কুয়াশা। চারিদিকে শুধু ধোঁয়া আর ধোঁয়া। খুব কাছে থাকা মানুষকেও যেন দেখাতে পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও আবহাওয়া দফতর (weather office), এখনও অবধি কনকনে ঠাণ্ডার কোন পূর্বাভাস দিতে পারেনি, তবে মনে হচ্ছে এই কুয়াশা কেটে গেলেই বাংলায় জাঁকিয়ে পড়বে হাড়কাপানো ঠাণ্ডার আমেজ।
ইতিমধ্যেই কুয়াশার মধ্যে মানুষজন শীত পোশাক পড়ে নিজেদের ঠাণ্ডার হাত থেকে বাঁচার জন্য সবরকম সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে নিয়েছে। তবে আবহাওয়াবিদদের কথা মত, আগামী ১৫ ই ডিসেম্বরের পর ধীরে ধীরে হাড়কাপানো ঠাণ্ডার আমেজ টের পাবে বাংলার মানুষ।
আজকের আবহাওয়া
বুধবার সকাল থেকে কলকাতা শহরের চারিপাশ রয়েছে অত্যাধিক কুয়াশাছন্ন। চারিদিক ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে। কনকনে ঠাণ্ডা না পড়লেও বেশ ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে ভোরের দিকটায়। বাংলায় হাড়কাপানো শীতের আমেজের আগমন কবে ঘটতে চলেছে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। শুধুমাত্র সাগরে একের পর এক ঘূর্ণিঝড় সংগঠিত হচ্ছে, আর তার পরোক্ষ প্রভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আজকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বাংলার আকাশে সকালের দিকে মূলত আবছা রৌদ্রজ্জ্বল আকাশ থাকবে এবং রাতের দিকে মূলত আবছা আকাশ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলার পরিস্থিতি
কুয়াশাচ্ছন্ন বাংলায় আজও বেশ কুয়াশার দাপট দেখা যাচ্ছে। দক্ষিণের আকাশ আগামী ২৪ ঘণ্টায় মোটামুটি শুষ্ক থাকবে। তবে উত্তরে বেশ কিছু জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও, পরবর্তীতে আকাশ আবারও শুষ্ক হয়ে যাবে। তবে আগামী ২-৩ দিন রাতের তাপমাত্রা বিশেষ পরিবর্তন নাও হতে পারে। তবে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা এবং নদীয়ায় এই কুয়াশার প্রভাব বেশ কিছুক্ষণ ধরে লক্ষ্য করা যাবে।