বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান যুগে স্মার্টফোন এমনই একটি জিনিস যেটা ছাড়া সকলেই অচল। দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় কাজও খুব সহজেই সম্পন্ন হয় স্মার্টফোনের মাধ্যমে। পাশাপাশি, সিনেমা দেখা, গান শোনা, অনলাইনে কেনাকাটা বা ভিডিও কলের মাধ্যমে প্রিয়জনদের সাথে কথা বলা সবকিছুই করা যায় এর দৌলতে।
পাশাপাশি, কর্মব্যস্ত বাবা-মায়ের সন্তানদের কাছেও বর্তমানে স্মার্টফোন একটি বিনোদনের জিনিস। ইন্টারনেটের দৌলতে কার্টুন এবং দেদার গেমসের দুনিয়ায় খুব সহজেই প্রবেশ করা যায় স্মার্টফোনের সাহায্যে। তবে, অত্যধিক মোবাইল ফোনের ব্যবহার কী ভাবে বিপদ ডেকে আনতে পারে, তা ভালোই টের পাচ্ছেন এক প্রবাসী ভারতীয় দম্পতি। শুধু তাই নয়, সন্তানের হাতে মোবাইল দিয়ে ১.৪ লক্ষ টাকা গচ্চা গেল ওই দম্পতির।
সম্প্রতি এমন একটি ঘটনা সামনে এসেছে যা শুনে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গিয়েছে সকলের। জানা গিয়েছে যে, নিউ জার্সির বাসিন্দা প্রমোদ এবং মধু কুমারের বাড়িতে আচমকাই ডেলিভারি হতে শুরু করে একের পর এক দামি আসবাবপত্র। একটি ফুলদানি এবং আরামকেদারা সহ একাধিক আসবাবপত্র চলে আসে বাড়িতে।
স্বভাবতই হঠাৎ করে এত জিনিস বাড়িতে চলে আসায় অবাক হয়ে যান তাঁরা। অর্ডার না করা সত্ত্বেও কী ভাবে ওয়ালমার্ট থেকে আসবাবপত্রগুলি তাঁদের বাড়িতে ডেলিভারি হচ্ছে তা কিছুতেই বুঝতে পারছিলেন না কেউই! তবে, বহু সন্ধানের পর তাঁরা আসল ঘটনাটি বুঝতে পারেন। মায়ের ফোন নিয়ে ওয়ালমার্ট থেকে একের পর এক ফার্নিচার অর্ডার করে গিয়েছে ২২ মাসের দুষ্টু একরত্তি, অংশ।
তারপরেই বাবা-মায়ের এমন অবস্থা দেখে রীতিমতো চমকে গিয়েছে সেও! মুখ না ফুটলেও তার এই কাজে সাড়া পড়ে গিয়েছে চারিদিকে। জানা গিয়েছে যে, মা-বাবাকে প্রায়ই অনলাইনে শপিং করতে দেখে অংশ। পাশাপাশি, দাদা-দিদিকেও বাড়িতে অনলাইন ক্লাস করতে দেখতে অভ্যস্ত সে। স্বাভাবিকভাবেই, বাবা-মায়ের ব্যস্ততায় তার হাতে পৌঁছে গিয়েছে স্মার্টফোন।
আর সেখান থেকেই দেদার ফার্নিচার অর্ডার করে গিয়েছে অংশ। যদিও, বর্তমান যুগে শিশুদের কাছে স্মার্টফোন ব্যবহার করা কোনো ব্যাপারই না। নিজেরাই স্মার্টফোন ঘেঁটে ইউটিউব, ফেসবুক বা অনলাইন গেমগুলি খেলতে শুরু করে তারা। দিন দিন শিশুরা আসক্ত হয়ে পড়ছে স্মার্টফোনে। গোটা বিশ্বজুড়েই বাড়ছে এই প্রবণতা। তবে, স্মার্টফোনের দৌলতে হঠাৎ করে এত টাকার ফার্নিচার অর্ডার করার ঘটনা যে অত্যন্ত বিরল তা একবাক্যে স্বীকার করছেন সবাই।