বাংলা হান্ট ডেস্ক: ১৯২০। সদ্য শেষ হয়েছে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে মারণ স্প্যানিশ ফ্লু। এমন পরিস্থিতিতে বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়ার্পে বসেছিল অলিম্পিকে আসর।যা বিশ্বযুদ্ধ ও স্প্যানিশ ফ্লু-র ভয়াবহতা কাটিয়ে উঠতে মানুষকে সাহায্য করেছিল।ঠিক একশো বছর আগের ঘটনা থেকে কোভিড-১৯ অতিমারির বিরুদ্ধে লড়ার সাহস নিচ্ছে টোকিওর অলিম্পিক কমিটি।
টোকিওর রাজ্যপাল ইউরিকো কোইকে বলেছেন, ‘আমরা অলিম্পিকের কথা মাথায় রেখে নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছি।মানব সভ্যতা এই মুহূর্তে সংকটে রয়েছে।অনেক মানুষ ভবিষ্যতের আশা হারিয়ে ফেলেছেন। তাঁদেরকে মনে করিয়ে দিতে চাই, ঠিক ১০০ বছর আগে ১৯২০ সালে বেলজিয়ামের অ্যান্টেওয়ার্পে বসেছিল অলিম্পিক।তখন সবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছে এবং স্প্যানিশ ফ্লু ছড়াতে শুরু করেছে।মানব সভ্যতার ইতিহাসে দুই ভয়ংকরতম ঘটনায় অজস্র মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।কিন্তু মানুষ আশা হারায়নি।‘
তিনি আরও যোগ করেন, ‘দুই ভয়ংকরতম ঘটনার মধ্যেই অ্যান্টেওয়ার্পে আয়োজিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।এই প্রতিযোগিতা মানুষের মধ্যে আশা ফিরিয়ে এনেছিল।আশা করব টোকিও অলিম্পিক এমন পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হবে এবং মানুষের মনে আশা ফিরিয়ে আনার টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে কাজ করবে।‘
করোনা ভাইরাসের চতুর্থ ঢেউ আপাতত জাপানে আছড়ে পড়েছে। সেকারণেই টোকিওয় অলিম্পিকের আসর বসানো আদৌ সম্ভব হবে কী না, তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বারংবার এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের ব্যাপারে ইতিবাচক আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। টোকিওতে আগামী ২৩ জুলাই থেকে ৮ অগাস্ট অলিম্পিকের এই আসর বসতে চলেছে। গত বছর জাপানের রাজধানীতে অলিম্পিক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার পরিস্থিতির কারণে তা স্থগিত করে দেওয়া হয়। এর আগে প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে অলিম্পিক বন্ধ থাকলেও, স্থগিত এই প্রথম।