বাংলা হান্ট ডেস্ক: পরিচালক ফেডারেশন দ্বন্দ্বে এই মুহূর্তে শুটিং বন্ধ হয়ে রয়েছে বাংলার সিনেমা (Tollywod) থেকে শুরু করে সিরিয়াল সবকিছুর। এরইমধ্যে নিজেদের মধ্যে সমস্যা মিটিয়ে নিজেদের মধ্যে রাগারাগি ভুলে আবার শুটিং চালু করার জন্য আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজতে এগিয়ে এলেন খোদ ইন্ডাস্ট্রি স্বয়ং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee) সহ শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু রাজ চক্রবর্তীর (Raj Chakraborty) মত জনপ্রিয় সব পরিচালকরাও।
টলিউডে (Tollywod) কবে কাটবে অচলাবস্থা?
সোমবার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈঠকের পর ইগো ভুলে হাত মেলানোর বার্তা দিয়েছেন খোদ টলিউড (Tollywod) পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। এদিনের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর বলেছেন, ‘টেকনিশিয়ানদের একটা মিটিং আছে। যেটা শিবু বলছিল, আমিও সেটাই হাতজোড় করে বলছি, যে আপনারা বিবেচনা করুন, ভাবুন।’
সেইসাথে পরিচালকের সংযোজন, আপনারা প্রত্যেকে খুব কাছের মানুষ (পাশ থেকে টলিউড (Tollywod) সুপারস্টার প্রসেনজিৎ বললেন ভালোবাসার মানুষ)। আপনারা ছাড়া আমরাও প্রত্যেকে ফ্লোরে গিয়ে কিছু করতে পারব না। আর আমরা ছাড়া আপনারাও ফ্লোরে গিয়ে কিছু করতে পারবেন না। তাই আমি সকলের কাছে অনুরোধ করব, ইগো ছেড়ে দিন। আমাদের যদি ইগো থাকে, তাহলে সেটাও আমরা ছেড়ে দিচ্ছি। আমরা একটা সুন্দর পলিসি গড়ে, যাতে ইন্ডাস্ট্রিকে আরও বড় করতে পারি, আরও প্রচুর ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে আসতে পারি, সেদিকেই যেন সকলে মনোযোগ দি। কাকে কতটা শাস্তি দেওয়া হবে, কাকে কতটা শাস্তি দেওয়া হল সেদিকে যেন মনোযোগ না দিই। ’
আরও পড়ুন: ১২ বছরে নেননি সন্তান,স্বামীর ওপর খবরদারি, বউয়ের ধূমপান-মদ্যপানে বিরক্ত অভিনেতা ঋষি কৌশিক
একই সুর শোনা গেল অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের গলাতেও। তাই এদিন বৈঠক শেষে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বিশ্বাস করুন, ওরা কাজের সময় নিজেদের খাবারটা নেন না। আগে সকলকে জিগ্গেস করেন, এই তোরা খেয়েছিস, তুই খেয়েছিস, আবার বলেন, তাড়াতাড়ি নে বুম্বাদাকে ছাড়তে হবে। এটাই পরিচালক, টেকনিশিয়ান ও অভিনেতাদের মধ্যে সম্পর্ক। ডিরেক্টররা দেখবেন একদম লাস্টে খায়। আর এই সম্পর্কটা আছে বলেই আমরা ভালো সিনেমা উপহার দিতে পারছি।’
সেই সাথে অভিনেতা এদিন রাগারাগি ভুলে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এই সম্পর্কটা যেদিন নষ্ট হয়ে যাবে সেদিন আমার মনে হয় আর কিছুই হবে না। তাই আমি বারবার বলছি, এই জেদাজেদি, রাগারাগি না করে যেখানে যার যেটা সমস্যা কথা বলে নিন। কাজ প্রত্যেকের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যাঁরা যাঁরা ফ্লোরে থাকেন, সকলের জন্য সেটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বলি আমাদের ছবি, আমার ছবি কেউ বলি না।’